সতীর একান্ন পীঠের এক পীঠ তমলুকের দেবী বর্গভীমা। শক্তি পুজো শুরুর আগে রয়েছে অনুমতি নেওয়ার প্রথা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত বা তমলুকের আজও মধ্যমণি মা বর্গভীমা। কয়েক হাজার বছর ধরে শক্তি স্বরূপিণী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে দেবী বর্গভীমার আরাধনা চলে আসছে। ওড়িশি স্থাপত্যের আদলে এই দেউলের উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট। মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার কাজ। মন্দিরের গর্ভগৃহে কালো পাথরে তৈরি মায়ের মূর্তি বিরাজ করছে দেবী উগ্রতারা রূপে।
advertisement
তমলুকে ক্লাব প্রতিষ্ঠান হোক বা বাড়ির পুজো, প্রথমে দেবী বর্গভীমা মাকে পুজো দিয়ে অনুমতি নিয়ে শুরু হয় পুজো। দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে সকাল থেকেই পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন। শুধু মেদিনীপুর জেলার মানুষজনই নন, পার্শ্ববর্তী হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ কালীপুজোর দিন মন্দিরে পুজো দেন। দীপান্বিতা অমাবস্যায় রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিত হন দেবী বর্গভীমা।
Saikat Shee