এবার ফের একবার চার তৃণমূল নেতার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের হোটেলে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকের অভিযোগকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরে শাসক দলের অন্দরে ঝড়৷ ওই নেতাদের 'গদ্দার', 'মীরজাফর' বলে অভিহিত করে তমলুক শহর জুড়ে পোস্টার পড়েছে৷ অবিলম্বে ওই নেতাদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে৷ যদিও বিতর্কে নাম জড়ানো তৃণমূল নেতারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি৷
advertisement
আরও পড়ুন: তল্লাশিতেই রেহাই নয়, এবার তাপসকে তলব সিবিআই-এর! সাঁড়াশি ফাঁসে তৃণমূল বিধায়ক?
যে পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাতের অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের তমলুক টাউন ব্লক সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া৷ তিনি তমলুক পুরসভার কাউন্সিলর পদেও রয়েছেন৷ এ ছাড়াও পুরসভার কাউন্সিলর কানাইলাল দাস, বিমল ভৌমিক, গৌতম পালের নামও রয়েছে তালিকায়৷
তমলুক শহরের প্রায় সর্বত্র পোস্টারে এই নেতাদের নাম দিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে, কোন উদ্দেশ্যে তাঁরা বার বার শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গোপন বৈঠক করছেন? পোস্টারে আরও লেখা, 'এবার আওয়াজ তুলবে নতুন তৃণমূল (ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়)। তাম্রলিপ্ত পৌরসভার কাউন্সিলর চঞ্চল খাঁড়া, কানাইলাল দাস, বিমল ভৌমিক গৌতম পালরা আসলে কোন দলের জবাব চাই জবাব দাও৷ মীরজাফর, চোর, গদ্দারদের দল থেকে হঠাও৷'
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর হাতে নতুন 'অস্ত্র'..., বর্ধমানে বড় পরিকল্পনা! কী করতে চলেছেন?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব৷ বিশেষ শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে যখন পঞ্চায়েত ভোটে তাঁকে কোণঠাসা করতে মরিয়া তৃণমূল, সেখানে দলের নেতাদের একাংশেরই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ তৃণমূলের সাংগঠনিক দুর্বলতারই প্রমাণ৷ দলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ অন্যদিকে অভিযুক্ত নেতা চঞ্চল খাঁড়াও জানিয়েছেন, জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের সঙ্গে কথা বলেই এ বিষয়ে যা বলার বলবেন৷
জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাইতি বলেন, 'গোটা বিষয়টি দলীয় স্তরে তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা এবং কারা অভিযোগ তুলে পোস্টার দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।'