নাবালিকাদের বিবাহ করার কারণে ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশ আটক করেছে।জামাইষষ্ঠী ঠিক এক সপ্তাহ আগে নাবালিকার বিয়ে আর তা বিয়ের পর জানতে পারে ব্লক প্রশাসন। বিবাহিত চারজন নব বর-বঁধূ ও তাদের পরিবারের লোকজনকে প্রথমে ব্লক প্রশাসন অফিসে ডাকা হয়। তারপর তাদের মহিষাদল থানার পুলিশ আটক করে। ঘটনাটি মহিষাদল ব্লকের সতীশ সামন্ত পঞ্চায়েত এলাকার কমলপুরের ঘটনা। আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চারজন নাবালিকাকে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী গ্রামেরই চার যুবক।
advertisement
ওই চারজন নাবালিকা স্থানীয় স্কুলের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রী। নতুন বিয়ের আনন্দে মশগুল। কিন্তু বাধ সাধল আইন। ফলে বিয়ের পর জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইষষ্ঠীর আদরের বদলে ঠাঁই হল শ্রীঘরে। এই ঘটনায় মোট ১৪ জনকে আটক করেছে মহিষাদল থানার পুলিশ। ওই চারজন নাবালিকার বিয়ের দিন ব্লক প্রশাসন জানতে না পারলেও, বিয়ের পর গোপন সূত্রে ওই নাবালিকাদের বিয়ের খবর পায় ব্লক প্রশাসন তথা বিডিও।
বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল সমস্ত তথ্য উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেন। ব্লক প্রশাসন তাদের ঠিকানা জোগাড় করে তাদের বিডিও অফিসে আসার নির্দেশ দেন। সেই মতোই চার নব দম্পতি ও তাদের বাড়ির লোকজন বিডিও অফিসে আসেন এবং বিডিও এর সঙ্গে কথা বলেন। ওই চার নব দম্পতি ও তাদের পরিবারের মুখ থেকে পুরো ঘটনা শুনে অবাক হন মহিষাদলের বিডিও।
তারপর তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সেইমতো মহিষাদল থানার পুলিশ ওই চারজন নব দম্পতি-সহ মোট ১৪ জনকে আটক করে। এ বিষয়ে মহিষাদল থানার বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল জানান, ‘এই চার নব দম্পতি ও তাদের পরিবারের লোকজন আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিয়ে করেছে। ম্যারেজ বা নাবালিকা বিবাহ কোনভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।’ প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোনা অতিমারির পর থেকেই নাবালিকা বিবাহ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সচেষ্ট নাবালিকা বিবাহ রোধে।
Saikat Shee