আরও পড়ুন: চকলেট ভেবে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ফেলল শিশু! সঙ্গে সঙ্গে মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল গ্যাঁজলা
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহর জুড়ে একের পর এক গজিয়ে উঠেছে খাবারের দোকান, রেস্তোরাঁ। সেই সব রেস্টুরেন্টের খাবারের গুণগত মান কেমন তা তা জানতেই অভিযান চালায় খাদ্য সুরক্ষা দফতর। তমলুকের বিভিন্ন দোকানে জিনিসপত্রের দাম এমআরপি’র তুলনায় বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। আর তাই রেস্তোরাঁর পাশাপাশি কিছু স্টেশনারি দোকানেও খাদ্য সুরক্ষা দফতর ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতর যৌথ অভিযান চালায়। এই অভিযানে সহায়তা করে পুলিশ।
advertisement
তমলুক শহরের একাধিক জায়গায় এদিন অভিযান চলে। রেস্টুরেন্ট, কোল্ড ড্রিংকসের দোকানের পাশাপাশি একাধিক মিষ্টি দোকানেও অভিযান চালানো হয়। বেশ কিছু দোকানে দেখা যায় কোল্ড ড্রিংকসের দাম বোতলে লেখা দামের চেয়ে পাঁচ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন মিষ্টি দোকানে মিষ্টি তৈরির জন্য ব্যবহৃত রঙের গুণগত মান খতিয়ে দেখেন আধিকারিকেরা। মিষ্টি দোকানদারদের রঙের পরিমাণ কতটা হবে এবং কী ধরনের রং ব্যবহার করা উচিত তা জানানো হয়।
এই অভিযান নিয়ে খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক মিনু কুণ্ডু জানান, কালীপুজো ও দিওয়ালির সময় খাবারের দোকানগুলিতে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন ও বেশি দামে জিনিসপত্র বিক্রির অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এদিন তমলুক শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানে গিয়ে খাবারের মানপরীক্ষা করা হয়। জিনিসের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। কয়েকজন দোকানদারকে কাগজপত্র নিয়ে পরে দফতরে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ক’দিন এই ভাবেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চলবে বলে জানা গিয়েছে।
সৈকত শী