বর্তমান সময়ে জায়গা জমির পাশাপাশি ঘরবাড়ি কেনাবেচা সহ সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশনে ক্রেতা বিক্রেতার পাশাপাশি দলিল লেখকদেরও প্রয়োজন হয় ফিঙ্গারপ্রিন্টের। দলিল রেজিস্ট্রার করার সময় দলিল লেখকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা নেওয়া হয়। এখন সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়েই আতঙ্কিত দলিল লেখকেরা।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দলিল লেখকরা। জমি-বাড়ি কেনাবেচার নথি থেকে শুরু করে মোবাইলের সিম কিনতে কিংবা বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে এখন বাধ্যতমূলক ফিঙ্গারপ্রিন্ট। যার সুযোগ নিচ্ছে সাইবার দুষ্কৃতীরা। সার্ভার হ্যাক করে সরকারি নথিপত্রে থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্ট জালিয়াতি করে দেদার চলছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফাইয়ের কাজ। সম্প্রতি এই প্রতারণা চক্র শুরু করেছে রাজ্যের রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি। সেই কারণে, এবার জায়গা-জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্টের ব্যবহার বন্ধের দাবি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতি।
advertisement
দলিল লেখকেরা নিজেদের পাশাপাশি ক্রেতা, বিক্রেতাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত গুচ্ছ দাবিদাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি- ১ ও ২, রামনগর, পাঁশকুড়া, মহিষাদল ও নন্দকুমারের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সব রেজিস্টারদের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন দলিল লেখক সমিতির নেতৃত্বরা। দলিলে লেখক-লেখিকাদের চিহ্নিতদার হিসেবে যুক্ত না রাখা, অনুসন্ধান (কোয়েরি) ব্যতীত দলিলের অন্য কোথাও ক্রেতা-বিক্রেতাদের আধার ও প্যান নাম্বার উল্লেখ না করা এবং সরকারি সার্ভার সুরক্ষিত করার দাবি জানান রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির নেতৃত্বরা।
সরকারি ভাবে দ্রুত দাবি মঞ্জুর না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার বার্তাও দিয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির কাঁথি শাখার সম্পাদক তপন কুমার সামন্ত৷ তিনিও শিকার হয়েছেন এমন প্রতারণার। কয়েকদিন আগে কোনও ফোন কল কিংবা লিঙ্ক না পাঠিয়েই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলে নেয় সাইবার প্রতারকরা।
আরও পড়ুন: কোথাও গেরুয়া, কোথাও পরনে খাকি পোশাক, জন্মদিনে দেখুন নরেন্দ্র মোদির অদেখা সব ছবি
তিনি বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশে আমরা দলিল লেখকেরা প্রতিটি দলিলের চিহ্নিতদার হিসেবে টিপ এবং স্বাক্ষর দুইই প্রদান করি। যা সরকারি দফতরে নথিভুক্ত থাকে। এখন সেই টিপ অর্থাৎ ফিঙ্গারপ্রিন্ট আধার নম্বরের সাহায্যে কৌশলে ব্যবহার করে আমাদের টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আমরা এতে সর্বস্বান্ত হচ্ছি। ফলে আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। সে জন্য দলিলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার রোধ-সহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছি আমরা।’’
Saikat Shee