লক্ষ্মীপুজোর জন্য কুমোর পাড়া মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত ছোট ছোট লক্ষ্মী ও গণেশ ঠাকুর তৈরি করতে। সারা বছর মাটির অন্যান্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি দীপাবলীর পর কুমোর পাড়ায় নবান্ন উৎসবের লক্ষ্মীপুজোর লক্ষ্মী ঠাকুর বানানোর তোড়জোড় শুরু হয়। এ বছরও তার অন্যথা হল না। বাংলার অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার পড়েছে ২৪ নভেম্বর। ঐদিন থেকে শুরু হবে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনা। প্রতি বৃহস্পতিবার পূজিত হবেন লক্ষ্মী দেবী।
advertisement
আরও পড়ুন: East Bardhaman News: কীভাবে বাড়ির পুকুরেই চাষ করবেন মুক্তো জানুন
তাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হাটে বাজারে এখন কুমোরের তৈরি ছোট ছোট লক্ষ্মী গণেশ কেনার ধুম। কুমোর পাড়াতে ব্যস্ততা লক্ষ্মী ও গনেশ তৈরিতে। কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত লক্ষ্মী গণেশ রঙ করতে। সারা বছরের অন্যান্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি বাড়তি রোজকারের আশায় নন্দকুমারের ঠেকুয়া চক গ্রামের কুমোর পাড়ায় এক একজন মৃৎশিল্পী গড়ে এক থেকে দেড় হাজার জোড়া লক্ষ্মী গণেশ তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন: West Bengal News: ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বড় নির্দেশ সরকারের, বিরাট স্বস্তিতে রাজ্যের কৃষকরা!
এক মৃৎশিল্পী জানান, ' বছরের অন্যান্য সময় মাটির হাড়ি কলসি সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি হয়। প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম বৃহস্পতিবারকে রেখে তৈরি হয় মাটির ছোট ছোট লক্ষ্মী গণেশ। এক একটি লক্ষ্মী গণেশ জোড়া কুড়ি থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়। সব মিলিয়ে নবান্ন উৎসবের লক্ষ্মীপুজোর প্রাক্কালে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘরে আসে।' যদিও বর্তমানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে লভ্যাংশের পরিমাণ কমেছে। কিন্তু বংশপরম্পরায় এই পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকায় ছোট ছোট লক্ষ্মী গণেশ তৈরি করছেন কুমোর পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা।
Saikat Shee





