সম্প্রতি প্রায় ১০ বছরের গেঁড়ো কাটিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয়েছে এই জেলায়। মোট ১ হাজার ৯১২ জনকে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়েছিল। সেই নিয়োগ পত্র নিয়ে তমলুক থানার হোগলা গ্রামে অবস্থিত কৃষ্ণগঞ্জ প্রাথমিক প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দিতে আসেন শ্যামলী গুড়িয়া বেরা। কিন্তু স্কুলে পড়ুয়াদের অভিভাবক প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয়। স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। তাদের দাবি, স্কুলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকাকেই এই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: মহালয়ার আগে বাজারে আগুন… উৎসবের মরশুমে চাপে মধ্যবিত্ত
বর্তমানে কৃষ্ণগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নীলিমা জানা দীর্ঘদিন এই স্কুলে রয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীর পাশাপাশি অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু তিনিও এই স্কুল থেকে বদলি হয়ে অন্য একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেবেন। আর তা মানতে নারাজ স্কুল ছাত্র ছাত্রী থেকে তাদের অভিভাবকেরা। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জানান শিক্ষিকা নীলিমা জানা তাদের পড়াশোনার প্রতি যত্নবান এবং ভালোবাসেন তাই এই স্কুল থেকে যেতে দেবে না ছাত্রছাত্রীরা। অভিভাবকেরাও এই মত পোষণ করেন। তাই বদলি আটকাতে তারা বিক্ষোভ দেখান।
আরও পড়ুন: হু হু করে করে কমবে ওজন…! ১ মাস ঠিক ‘এইভাবেই’ খান ইসবগুলের ভুসি
স্কুলে যোগ দিতে আসা প্রধান শিক্ষিকা শ্যামলী গুড়িয়া বেরা জানান “স্কুলে ঢোকার সময় অভিভাবকেরা ঢুকতে বাধা দেন, তাই তিনি স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে। বিষয়টি এস আইকে জানান হয়েছে।’
অন্যদিকে অভিভাবকেরা তমলুক গ্রামীণ চক্রের অবর বিদ্যালয়ের এস আইয়ের কাছে তাদের দাবি লিখিত আকারে জানান। তমলুক গ্রামীণ চক্রের অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শক অরুনাভ হাজরা জানান, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ডি আই এবং চেয়ারম্যানের নিকট জানান হয়েছে।’
সৈকত শী