কোলাঘাটের আন্দুলিয়া গ্রামে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন লাগে বুধবার ভোরে। জানা গিয়েছে, ঝুপড়ির একটি ঘরে রান্না করার সময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঝুপড়ির পরপর ১৫ টি ঘর। এই অগ্নিকাণ্ড এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শন করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি ও মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী।
advertisement
আরও পড়ুন: রান্না করতে গিয়ে বিধ্বংসী, আগুনে পুড়ে ছাই বাবা-মেয়ে! মেচেদাতে কী মর্মান্তিক কাণ্ড
অগ্নিকাণ্ডে বিধ্বস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলার পর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী জানান, "অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছে প্রশাসন।" প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের অস্থায়ী থাকার বন্দোবস্তবের পাশাপাশি পানীয় জল, খাবারদাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন। এসব অসহায় পরিবারের মানুষজনদের অন্য কোনও ফাঁকা সরকারি জায়গায় স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন দেওয়া যায় কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে জেলা প্রশাসন। এই ১৫ টি ঝুপড়িতে প্রায় ৭০ জন থাকতেন। যাদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, রেশন কার্ড সহ সমস্ত নথিপত্র ওই আগুনে পুড়ে গিয়েছে। জেলাশাসকের নির্দেশে ব্লক প্রশাসনের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে, যারা ওই ক্ষতিগ্রস্তদের যাবতীয় নথিপত্র নতুন করে দ্রুততার সঙ্গে বানিয়ে দেবেন। জেলাশাসকের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে সন্তুষ্ট ক্ষতিগ্রস্থরা।
সৈকত শী