পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চাইল্ড ম্যারেজ বা বাল্যবিবাহ রোধে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আরও বেশি কাজে লাগাতে উদ্যোগী প্রশাসন। আর এমনই বার্তা তুলে ধরলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক তানভীর আফজল। রাজ্য সরকার বা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে আয়োজিত সবলা মেলার উদ্বোধনে এই বার্তা দেন তিনি। করোনা অতিমারিকালের পর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বাল্যবিবাহ বেড়েছে। করোনা অতিমারিতেআর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পরিবার ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের পাত্রস্থ করতে পারলেই খুশি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর, চন্ডিপুর, ময়না সহ বিভিন্ন ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই চিত্র ঘরে ঘরে। এর পাশাপাশি জেলায় প্রেমঘটিত কারণে বহু নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে পড়তেই বহু মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করছে। এছাড়াও নানা কারণে জেলায় বাল্যবিবাহ বাড়ছে যা জেলাকে বাল্যবিবাহে দেশের প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে।
advertisement
বাল্যবিবাহ সামাজিক অবক্ষয়ের একটি দিক। কীভাবে বাল্যবিবাহের সংখ্যা কমানো যায় তা নিয়ে চিন্তায় জেলা প্রশাসন। জেলা জুড়ে বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনএকাধিক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এমনকি জেলা জুড়ে বহু নাবালিকার বিবাহ প্রশাসনিক পদক্ষেপ এর কারণে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে তাদের পরিবার। সাধারণ মানুষকে সচেতনতার করার পাশাপাশি স্কুলে স্কুলে কন্যাশ্রী ক্লাবকে দিয়েও বাল্য বিবাহের কুফল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। জেলা জুড়ে বাল্যবিবাহ নিয়ে একাধিক সরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও জেলার বাল্যবিবাহের হার কমেনি।
বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসন চায়স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেদেরএলাকায় এধরনের কোনও ঘটনা ঘটছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে। এমনিতেই জেলা জুড়ে বাল্য বিবাহ রোধে প্রশাসনের তৈরি করা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলোর কমিটিতে রয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।এ বিষয়ে জেলাশাসক জানান, ‘বাল্যবিবাহ একদিনে বাড়েনি, একদিনে কমবে না। কিন্তু লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বাল্যবিবাহ রোধে।গোষ্ঠীর মহিলাদের আরও বেশি করে কাজে লাগাতে হবে।’ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা দীক্ষায় অন্যান্য জেলা থেকে অনেকটাই এগিয়ে। আর সেই জেলায় বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশি হওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। তাই সবলা মেলার মঞ্চ থেকে বাল্যবিবাহ রোধের বার্তা জেলাশাসকের।
সৈকত শী