জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ আচার পাহান্ডি বিজয় উৎসব। এটি মূলত জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার রথে আরোহণ বা ‘পাহান্ডি বিজয়’ নামক আনুষ্ঠানিকতা যা রথযাত্রার দিন অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবটি মূলত রথযাত্রার দিন সকালবেলায় পালিত হয়। দেবতাদের মন্দির থেকে থেকে রথের দিকে আনার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় পাহান্ডি বিজয়। শব্দটি এসেছে ‘পদ-গমন’ অর্থাৎ হাঁটা চলা বা বহন করে নিয়ে আসা। জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রাকে বিশেষ অলংকারে সাজানো হয়। ঢাক-ঢোল, সানাই ও মৃদঙ্গ বাজনার মাধ্যমে এক বর্ণাঢ্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
advertisement
দিঘায় পাহান্ডি বিজয় উৎসব দেখতে বহু ভক্তের সমাগম হয়েছে। জগন্নাথ দেবের দর্শন পেতে ধীরে ধীরে ভিড় জমছে দিঘায়। প্রথমবার দিঘায় এই মহাসমারোহে রথযাত্রা ভক্তদের মনে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। সমুদ্র সৈকতনগরী সেজে উঠেছে রথ মহোৎসবে। সৈকতনগরী জুড়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা তৈরি করেছে প্রশাসন। এদিন দুপুর ২টোর পর রথে শুরু হবে জগন্নাথদেবের আরতি। জানা যায় দুপুর ২:৩০ পর্যন্ত চলবে আরতি। রথকে কেন্দ্র করে বর্ণিল আলোকমালায় সেজেছে দিঘা।
দিঘায় রথযাত্রা উপলক্ষে ৫০০০ কেজি গাঁদা ফুল। কিন্তু রথের সাজসজ্জা কাজ করেছেন ইসকনের সন্ন্যাসীরাই। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নির্বিঘ্নে রথ মহোৎসব পালন করতে ভক্তদের রথের রশিতে টান দেওয়ার থেকে বিরত রাখা হবে। জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার রথ তিনটি টেনে নিয়ে যাবেন ইসকনের সন্ন্যাসীরাই। দিঘায় জগন্নাথ দেবের রথ শুরু হবে বিকেল সাড়ে চারটার পর। পাহান্ডি বিজয় একটি আবেগপূর্ণ দৃশ্য, যেখানে মনে হয় দেবতারা যেন তাদের ভক্তদের দিকে এগিয়ে আসছেন। পাহান্ডি বিজয় হচ্ছে দেবতাদের মন্দির থেকে রথে গমন করার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। এটি শুধু ধর্মীয় আচার নয়, বরং ভক্তি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মিশ্রণ। আর এই পাহান্ডি বিজয় উৎসব দেখতে দিঘায় বহু ভক্তের সমাগম হয়েছে।