বুধবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টির কারণে দিঘার সৈকত প্রায় ফাঁকা ছিল। পর্যটকরা হোটেলেই বন্দী ছিলেন। বিকেলে বৃষ্টি কিছুটা কমলে, সৈকতে ভিড় জমান পর্যটকরা। বিকালে কিছুটা শান্ত থাকলেও রাতে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে দিঘা। উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। প্রশাসন বারবার মাইকিং করে সতর্ক করছে, যেন কেউ সমুদ্রের খুব কাছে না যান। তবুও অনেক পর্যটককে দেখা যায় মোবাইলে ভিডিও করতে, উত্তাল সমুদ্রের ছবি তুলতে।
advertisement
আবহাওয়া দফতর আগেই সতর্ক করেছিল যে ‘মন্থা’ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ল্যান্ডফল করলেও তার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা সীমান্তে ল্যান্ডফল করার পর ঘূর্ণিঝড়টি ছত্তীশগড়ের দিকে সরে গেলেও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়।
ফলে বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি অন্তত শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
দফায় দফায় মাইকিং করছে প্রশাসন। পর্যটকদের অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা সৈকতে না নামেন ।তবে সন্ধ্যা নাগাদ বৃষ্টি কিছুটা কমলেও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকে। অনেকেই সৈকতের ধারে গিয়ে সমুদ্রের ভয়ঙ্কর রুপ উপভোগ করলেও, সমুদ্রে পা ভেজানোর সাহস দেখায়নি পর্যটকরা। মাঝেমধ্যেই ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টি তার তান্ডব লীলা চালাচ্ছে দিঘায়।
দিঘায় বুধবার দিনভর ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে চলছে অবিরাম বৃষ্টি। বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা থেকে শুরু করে দিঘার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ দোকান সামগ্রী সরিয়ে রাখতে ব্যস্ত, আবার কেউ দোকান বাঁচাতে প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকছেন তড়িঘড়ি। সারাদিন বন্ধ বিক্রি বাটা।
এক পর্যটক মাখন মাইতি বলেন, “অনেক দিন ধরেই দিঘা ঘুরতে আসার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি প্রবল বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ায় কোথাও ঘোরা যাচ্ছে না। রাতেও সমুদ্রের কাছেও যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। মনটা খুব খারাপ লাগছে, এত কষ্ট করে এসে এমন আবহাওয়ায় কিছুই উপভোগ করতে পারলাম না। তবে রাতে বৃষ্টির মধ্যেই উত্তাল সমুদ্রের রুপ বেশ ভালই লাগছে।”
Madan Maity





