পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সন্দীপের বাবা সঞ্জয় সামন্ত পেশায় কাঠের মিস্ত্রি। রোজের মত তিনি বাড়িতে স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে রেখে কাজে গিয়েছিলেন। এদিকে বাড়ির অন্যান্য কাজ সেরে ছেলেকে নিয়ে সামনের উঠোনে বসেছিলেন মা দীপ্তি। তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে। মায়ের কোল থেকে নেমে গিয়ে খেলছিল ছোট্ট শিশুটি। সঙ্গে ছিল পাড়ার অন্যান্য বাচ্চারা। এমন সময় আচমকা বাড়ির সামনের গাছ থেকে নারকেল খসে এসে সন্দীপের মাথায় পড়ে! বছর দেড়েকের শিশুটি তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রক্তে ভেসে যায় চারপাশ।
advertisement
আরও পড়ুন: শপিংমলে ঢুকে কাঁচি নিয়ে মালিককে এলোপাথাড়ি কোপাল 'মানসিক ভারসাম্যহীন' যুবক!
প্রতিবেশীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দ্রুত তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে ছোট্ট সন্দীপ। এই মর্মান্তিক ঘটনা জানাজানি হতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভেঙে পড়েন ছোট্ট সন্দীপের মা দীপ্তি সামন্ত, তিনি ঘনঘন জ্ঞান হারাতে থাকেন। হাসপাতালে ছেলের দেহ নিতে এসে বাবা সঞ্জয় সামন্ত বলেন, "হামাগুড়ি দিয়ে সবেমাত্র একটু একটু করে চলতে শিখেছিল ছেলে। কিন্তু এভাবে যে ও চলে যাবে তা কখনও ভাবিনি।"
সৈকত শী