প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রামপ্রসাদ সামন্ত তাঁর মেয়েকে প্রথমে বিয়ে দেন। বিয়ের পর তার স্বামী মারা গেলে মেয়ের সেই অসহায় অবস্থায় তার বাড়ির চার ভাগের একভাগ অংশ রেজিষ্ট্রি করে দেন মেয়ের নামে। পরে বিধবা মেয়ের সঙ্গে পাঁশকুড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সামন্তের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাঁরা উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের চক শ্রীকৃষ্ণপুরে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন বলে জানান আক্রান্ত মহিলার স্বামী। তিনি আরও জানান শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন থাকার পর শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় সম্পত্তি নিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক, বাগদায় চাঞ্চল্য
আক্রান্ত মহিলা মৌমিতা সামন্ত বলেন, তাঁর বাবা রামপ্রসাদ সামন্ত তাঁর নামের সম্পত্তি ফেরত দিতে একাধিকবার চাপ দেন। মারধর করেন তিন বছরের ছোট মেয়ে ও তাকে। সোমবার মেয়েকে বাথরুমে নিয়ে যাওয়ার পর বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে আক্রান্ত মহিলার বাবা রামপ্রসাদ সামন্ত, মা সন্ধ্যারানী সামন্ত-সহ দাদা মিলে একসঙ্গে আক্রমণ করেন বাথরুম থেকে বের করে এনে। তিন বছরের মেয়ের গায়ে অ্যাসিড দিয়ে আক্রমণ করতে গেলে মৌমিতা সামন্ত মেয়েকে আড়াল করে। তাঁর দুই হাত ও পায়ে অ্যাসিড পড়ে গিয়ে পুড়ে যায়। মেয়েকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও তিন বছরের শিশু কন্যা অ্যাসিড আক্রান্ত হয় অভিযুক্তদের দ্বারা। বর্তমানে মৌমিতা সামন্ত ও তার মেয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় আক্রান্ত মহিলার স্বামী উপস্থিত ছিলেন না ওই মহিলার চিৎকারই প্রথমে প্রতিবেশীরা এসে জড়ো হয়। পরেই তার স্বামী এসে তমলুক জেলা হাসপাতালের ভর্তি করে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত মহিলার স্বামী। তমলুক থানার আধিকারিক জানান ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Saikat Shee