কথিত আছে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। দেবী চণ্ডীর আর এক রূপ এই বিপত্তারিণী দেবী। বিপত্তারিণী ব্রত সাধারাণত মহিলারা করে থাকেন। ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩টি পান, ১৩টি সুপারি এবং ১৩ গাছা লাল সুতোতে ১৩ গাছা দূর্বা দিয়ে ১৩টি গিঁট বেঁধে ধাগা তৈরি করতে হয়। ব্রাহ্মণ দ্বারা আম্রপল্লব-সহ ঘট স্থাপন করে নাম গোত্র সহযোগে পুজো দেয় হিন্দু ধর্মের মেয়েরা। পুজোর পরে শোনা হয় বিপত্তারিণীর ব্রতকথা। যা এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ। পুজো শেষে মহিলারা লাল সুতো বাম হাতে এবং পুরুষেরা ডান কব্জি বা বাহুতে পরেন। ব্রত কথার পর উপবাস ভঙ্গ করে পুণ্যার্থীরা।
advertisement
মন্দিরের অন্যতম পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী জানান, ‘ব্রহ্ম মুহূর্ত থেকে শুরু হয়েছে মায়ের পুজো। রথযাত্রা থেকে উল্টো রথযাত্রা পর্যন্ত শনি ও মঙ্গলবার বিপত্তারিণী পুজো হয়। রথের পর প্রথম শনিবার বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে ভক্তের সমাগম হয়েছে। দিনভর চলবে মায়ের পুজোপাঠ। এই পুজোর অন্যতম অংশ হল ১৩ রকম ফল ও ১৩ রকম ফুল দিয়ে দেবী মাকে পুজো দেওয়া।’
আরও পড়ুন : রাত পোহালেই বিপত্তারিণী পুজো! ভুলেও করবেন না এই ৪ কাজ! সংসারে নেমে আসবে অভাব ও অশান্তির কালো ছায়া
বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে ঐতিহ্য প্রাচীন ইতিহাস বিজড়িত বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে সকাল দেখা গেল বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে ভক্তদের আনাগোনা। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হিন্দু দেবী রূপে পুজিত হন এই দেবী। সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ এবং দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম এই দেবী। সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ হলেও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই জেলা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মানুষজনেরা তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে বিপত্তারিণীর পুজো দিতে আসেন।