কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অনেক কিছুই। ঠিক যেমন মন্দির প্রাঙ্গণে ঝলমল করা ঝাড়বাতি গুলি এখন আর নেই তেমনি কিছুটা হলেও কমেছে পুজোর জৌলুস। সবেকিআন এই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজোয় রয়েছে নানান রীতি। এই বাড়ির বর্তমান প্রজন্মের মুখে শোনা যায়, প্রায় ৭০ বছর আগে পর্যন্ত বলি হত দুর্গাপূজোয়। এই পরিবারের দুর্গা প্রতিমাকে বেঁধে রাখা হত শিকল দিয়ে। তবে এখন আর শিকল দিয়ে বাধার রীতি নেই। শোনা যায়, মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে প্রতিমার দুলে উঠতো আগে। তাই দেবী যাতে পড়ে না যায় তার জন্য শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো দেবীকে। তবে এখন দেবীকে বেঁধে রাখা হয় মোটা দড়ি দিয়ে। যে সময় মহিলাদের ঘরের বাইরে বের হওয়ার স্বাধীনতা ছিল না সেই সময় থেকেই এই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের মহিলারা স্বাধীনতা পেতেন পুজোর কাজের সকলের সঙ্গে কাজ করার। এমনকি দশমীর দিন কুমারী পুজো করতেন মহিলারা। সেই রীতি আজও বিদ্যমান।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোয় ঘর সাজান গাছে গাছে! ছোট হোক বা বড়, সবুজের ছোঁয়ায় বদলে যাবে ঘর!
পরিবারেরই প্রতিষ্ঠা করা চারটি জলাশয়ের মধ্যে ' বোলেগড়ে' থেকে ষষ্ঠীর দিন ঘট আনা হয়। সপ্তমীর দিন তালবোনা থেকে ঘট আনা হয়। সপ্তমীর দিন সাত রকম ভাজা অষ্টমীর দিন আট রকম ভাজা নবমীর দিন ন'রকম ভাজা দিয়ে দেবীকে ভোগে দেওয়া হয়। প্রতিদিনের ভোগে কচুর শাক থাকবেই। দশমীর দিন ঘর বিসর্জনের সময় ঠাকুর দালানের আশপাশ এলাকায় দেখা যায় শঙ্খচিল। প্রতি বছরই দশমীর দিন ঠিক বিসর্জনের সময় দেখা যায় শঙ্খচিল। আর বিসর্জনের দিন হয় সিঁদুর খেলা এই সবের মধ্যে দিয়েই সমাপ্তি ঘটে গোস্বামীখন্ড গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো।
Malobika Biswas