জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বরে ব্লকের ৩৩ নম্বর বুথে বিরোধী দলের বুথ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন সন্তু রায়। তিনি স্থানীয় এক প্যান্ডেলের ডেকরেটরের অধীনে শ্রমিকের কাজ করেন। সন্তু রায়ের অভিযোগ,”আমি কাজ সেরে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলাম। মন্তেশ্বরের ভারুচের মোড়ে একটি চায়ের দোকানে দাঁড়াই। সেখানেই স্থানীয় শাসকদলের নেতা পার্থ ঘোষ। পার্থ ঘোষ জানতে চান আমি এখনও বিরোধী দল করি কিনা? আমি হ্যাঁ বলায় আমায় জুতো খুলে ব্যাপক মারধর করে।আমায় মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি কিল,চড়,ঘুঁষি মারা হয়।”
advertisement
তিনি আরও বলেন, আমার মায়ের মৃত্যুর সময় পঞ্চায়েত থেকে সরকারি প্রকল্পের ২,০০০ টাকা পেয়েছিলাম। সেই টাকা নেওয়ার পরেও আমি বিরোধী দল করি বলে আমায় মারধর করেন ওই শাসক দলের নেতা।” এই বিষয় নিয়ে মন্তেশ্বর বিজেপির ১ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি ঝুলন হাজরা বলেন,”বিকেলে আমরা মন্তেশ্বরে আমাদের দলীয় কার্যালয়েই বসেছিলাম। সেই সময় সন্তু রায় সেখানে কাঁদতে কাঁদতে সেখানে আসেন। কাঁদার কারন জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনার কথা খুলে বলেন । এরপর সন্তুকে মন্তেশ্বর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে থানায় এনিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করি ।’
আরও পড়ুনঃ Brain Teaser Math Puzzle: 8+8=91 এই অঙ্কটি মেলাতে পারবেন? জিনিয়াসরাও ফেল করেছেন, এবার আপনার পালা
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, মন্তেশ্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল শেখ ওরফে ডালিম শেখের ইন্ধনেই পার্থ ঘোষ আমাদের বুথ সভাপতির উপর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় পোস্টার সাঁটানো হয় বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। যদিও বিরোধী দলের বুথ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শাসকদলের নেতা পার্থ ঘোষ। পুলিশ জানিয়েছে, সম্পূর্ণ ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। তবে যখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সকল প্রকল্প সকল রাজ্যবাসীর জন্য, তারপরও কেন এই হামলার অভিযোগ তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।