এই উপলক্ষে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ঋত্বিক ঘোষ সহ অন্য চিকিৎসকরা। সেখানেই যক্ষা রোগ প্রসঙ্গে ঋত্বিক ঘোষ বলেন, যক্ষা রোগীদের এটাই বার্তা দিতে চাই যে তাঁদের ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় চিকিৎসা হবে। চিকিৎসকদের নির্দেশ সঠিকভাবে মেনে চললে এই রোগ সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব। ওষুধ খেয়ে ৬ মাসের মধ্যে সুস্থ হওয়া যাবে। রোগটা যেহেতু হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়ায় তাই বাড়ির কারোর হলে পরিবারের বাকি সদস্যদের সাবধানে থাকতে হবে। রোগীর ভিড়ে যাওয়া চলবে না, সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যথাসম্ভব আইসোলেশনে থাকা প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বহরমপুর পুরসভা দখলের বর্ষপূর্তি, আয়োজিত হল বিশেষ অনুষ্ঠান
যক্ষার চিকিৎসায় ওষুধের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন বলেও জানান ব্লক স্বাস্থ্য অধিকারী। আগে যক্ষা হলে রোগীকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার একটা ব্যাপার থাকত। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসায় যক্ষ্মা নিয়ে আর সেই ভয় নেই। বরং সঠিক নিয়ম মেনে চললে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি ঘটে।
জামালপুরের বাসিন্দা তথা সমাজসেবী সুরজ ব্যানার্জি ১০ জন যক্ষা রোগীর ৬ মাসের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় দায়ভার গ্রহণ করেন। এছাড়াও জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী কৃষ্ণা চ্যাটার্জিও এক যক্ষা আক্রান্তের যাবতীয় দায়িত্ব ৬ মাসের জন্য গ্রহণ করেছেন।