আজ থেকে প্রায় দুশো তিরিশ বছর আগে, লক্ষ্যাধিক টাকা ব্যয়ে এই অনন্য স্থাপত্য টি নির্মাণ করিয়েছিলেন বর্ধমানের তৎকালীন মহারানী বিষ্ণুকুমারী দেবী। ১৭৮৮ সালে এই মন্দির নির্মাণ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে। মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে জেলা এমনকি ভিন রাজ্যে থেকেও বহু ভক্ত সমাগম হয় ১০৮ শিব মন্দির প্রাঙ্গনে। ব্রত পালনকারীরা এই দিন উপবাস থেকে, দুধ, গঙ্গা জল, ঘী, মধু, আকন্দ, ধুতরা, নীলকণ্ঠ ফুল, বেলপাতা প্রভৃতি উপাচারে মহাদেবের পুজো করে থাকেন।এর পাশাপাশি শিবরাত্রি কে ঘিরে নবাবহাট এলাকায় সাত দিন ব্যাপি মেলার আয়োজন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার ঝেঁপে বৃষ্টি, বাদ নেই কলকাতাও! বিরাট পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের, সতর্ক থাকতেই হবে
শিবরাত্রি ও মন্দির প্রসঙ্গে মন্দিরের ট্রাস্ট অফিস সেক্রেটারি হরিহর দে জানান, সবাই জল ঢালতে আসে এখানে নিজের পুণ্যর জন্য । প্রতিবছরই এইরকম ভিড় হয় । গতবার প্রায় 30 -35 হাজার লোক হয়েছিল , আসা করছি এবছর আরও বেশি ভিড় হবে । এটা 236 বছর পুরনো মন্দির , বর্ধমান রানীর বানানো মন্দির । খুবই জাগ্রত এই মন্দির যার জন্য মানুষ এত ভিড় করে । এছাড়াও হোম যজ্ঞের আয়োজন করা হয় এর পাশাপাশি এখানে 7 থেকে 8 দিন ধরে মেলা চলে ।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি রুখতে থানায় অ্যান্টি করাপশন অফিসার, তাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ! বেরিয়ে এল ভয়ঙ্কর তথ্য
বেশ কিছু সময় লাইন দিয়ে অপেক্ষার পর শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে পুজো দিতে পান পুন্যার্থীরা। পুজো দিতে আসা পুণ্যার্থীরা জানান, অনেকে ১ ঘণ্টা, ৩০ মিনিট ধরে লাইনে দাড়িয়ে আছেন। এই ১০৮ মন্দির নাকি স্পেশ্যাল তাদের কাছে। এখানকার ঠাকুর খুব জাগ্রত তাই তারা অসেন এই মন্দিরে ।