বর্ধমান শহরের বেশিরভাগ বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা প্রতি কেজি আর চন্দ্রমুখী বিকোচ্ছে প্রায় ৪০ টাকা কিলো দরে। যা শুনে বাজারে গিয়ে কার্যত আঁতকে উঠছেন ক্রেতারা। হঠাৎ করে একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে আলুর দাম। কিন্তু কেনো বাড়লো দাম? প্রগতিশীল ব্যাবসায়ী সমিতির সদস্যরা বলছেন, হিমঘর বন্ধ থাকায় আলুর দাম বেড়েছে। বর্ধমান শহর সংলগ্ন এলাকায় ১৩টি হিমঘর রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র দু’টি হিমঘর থেকে আলু বেরোচ্ছে। শ্রমিকের অভাবে হিমঘর থেকে আলু বার করা যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই বাজারে আলুর জোগান কম আছে।
advertisement
রাজ্যে প্রতি বছর এক কোটি ১০ লক্ষ মেট্রিক টন আলুর ফলন হয়। তবে এবার তা কমে ৮০ লক্ষ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্য এ বছর রাজ্যে আলুর ফলন কম হয়েছে। আলু বীজ রোপনের সময় অকাল বৃষ্টির জল জমিতে দাঁড়িয়ে যাওয়ায় আলুর বীজ ও গাছ নষ্ট হয়। ফের নতুন করে আলু জমি তৈরি করে আলু বসাতে হয় কৃষকদের। এর থেকেও স্পষ্ট যে আলুর দাম ক্রমেই বাড়বে। ফলে বলা যেতেই পারে, রান্নার গ্যাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দামও। বাদ যাচ্ছে না অন্যান্য সবজিও।
বিক্রেতাদের একাংশ বলছেন, পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হলে সমস্ত জিনিসের দাম বৃদ্ধি হবে সেটাই তো স্বাভাবিক। তবে বাজারে এসে ক্রেতারা দাম শুনে চমকে যাচ্ছেন। যে এক কেজি আলু কিনবেন বলে ভেবে এসেছিলেন, সে কিনছেন ৫০০।অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, জিনিসের যা দাম বেড়েছে তাতে বাজারের থলি আর ভরছে না। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় আলু কিনতে গিয়েই মাথায় হাত পড়ছে।
Malobika Biswas





