TRENDING:

Purba Bardhaman: শ্রীগুরু আশ্রমের কচুবাটা আর ভাত খেয়েছেন? এটাই হল আসল আকর্ষণ

Last Updated:

বাঙাল মানেই কচুর রেসিপি। নানা প্রজাতের কচুকে কুচিয়ে নানা স্বাদের তরকারি তৈরির কোলাকৌশল জানা আছে পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষজনের। কিন্তু কচুবাটা উৎসব শুনেছেন কখনও?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পূর্ব বর্ধমান: বাঙাল মানেই কচুর রেসিপি। নানা প্রজাতের কচুকে কুচিয়ে নানা স্বাদের তরকারি তৈরির কোলাকৌশল জানা আছে পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষজনের। কিন্তু কচুবাটা উৎসব শুনেছেন কখনও? হ্যাঁ কচুবাটা উৎসব হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার নীলপুরে। গোটা রাজ্য থেকে নিয়ে আসা হয় সেরা মানকচু। তারপর বাকল ছাড়িয়ে মেশিনে পেশাই হয়। এরপর সরষে বাটা, নুন, লেবু, লঙ্কা আর নারকেল সহ অনেক কিছু মিশিয়ে এই অনুপম ডেলিকেসি তৈরি হয়। যা খেতে দূর দুরান্ত থেকে আসেন মানুষ। ওপার থেকে সব হারিয়ে আসা ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষগুলোকে একটা বন্ধন আর নির্ভরতা যুগিয়েছিলেন পরিব্রাজক দুর্গাপ্রসন্ন। তিনি আশ্রম গড়ে যেখানেই আশ্রম গড়েছেন তৈরি করেছেন ছেলেদের আর মেয়েদের জন্য দুটি করে স্কুল। তাঁর নিয়ম কানুন খুব সরল ছিল। সত্য, সেবা , নীতি, ধর্ম এই চার অনুশাসনের উপর ভিত্তি করেই ছিল তাঁর প্রচার।
advertisement

স্বাধীনতার পর থেকেই পরিব্রাজক দুর্গাপ্রসন্ন এর তৈরি শ্রীগুরু সঙ্ঘের আশ্রমে হয়ে আসছে এই তিনদিনের কচুবাটা উৎসব। এখানে আসল আকর্ষণই কচুবাটা আর ভাত। এখানে তিনদিন ভোগ খাওয়ানো হয়। হাজারে হাজারে ভক্ত প্রসাদ নেন। নীলপুর ও আশপাশ এলাকায় এই তিন দিন থাকে অরন্ধন। সবাই আশ্রমেই খেতে আসেন। শোনা যায়, আচার্য বলে গেছেন এই কচুবাটায় গায়ে হাত পায়ে ব্যাথা কমে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বেআইনি ভাবে গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ রাইস মিলের বিরূদ্ধে

দুরদুরান্ত থেকে ভক্তদের জন্য তাই এই ভাত আর কচুবাটা অমৃত। আশ্রমের এক কর্মী বলেন, প্রতিবছরই এই উৎসব হয়ে থাকে। এই কচুবাটা উৎসব ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠে এলাকার মানুষ। এই কচুবাটা আর ভাত খেতে এবছর প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ আসছেন। আশ্রমের এক ভক্ত শশাঙ্ক শেখর দাস বলেন, এই কচুবাটা অমৃত সমান। প্রতিবছরই কচুবাটা খেতে এই আশ্রমে আসি।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ টোটো দূর্ঘটনা কমাতে নির্দেশিকা কেতুগ্রাম প্রশাসনের

বাঙালপাড়া আর কলোনীগুলোতে অনেক বাড়িতেই পরিব্রাজাচার্য দুর্গাপ্রসন্নের আসন পাতা। গোটা দেশে শ্রীগুরু সঙ্ঘের অনেক আশ্রম আছে। কিন্তু এই তিনদিনের উৎসব বর্ধমানের নীলপুরেই হবে, কঠোর নির্দেশ ছিল দুর্গাপ্রসন্নের। মারা যাওয়ার আগে শেষ কটা দিন এখানেই থাকতেন তিনি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদী নাকি শুকিয়ে যাওয়া জমি ধরতে পারবেন! ইছামতীর প্রাণ ফেরাতে দারুণ উদ্যোগ
আরও দেখুন

Malobika Biswas

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Purba Bardhaman: শ্রীগুরু আশ্রমের কচুবাটা আর ভাত খেয়েছেন? এটাই হল আসল আকর্ষণ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল