স্বাধীনতার পর থেকেই পরিব্রাজক দুর্গাপ্রসন্ন এর তৈরি শ্রীগুরু সঙ্ঘের আশ্রমে হয়ে আসছে এই তিনদিনের কচুবাটা উৎসব। এখানে আসল আকর্ষণই কচুবাটা আর ভাত। এখানে তিনদিন ভোগ খাওয়ানো হয়। হাজারে হাজারে ভক্ত প্রসাদ নেন। নীলপুর ও আশপাশ এলাকায় এই তিন দিন থাকে অরন্ধন। সবাই আশ্রমেই খেতে আসেন। শোনা যায়, আচার্য বলে গেছেন এই কচুবাটায় গায়ে হাত পায়ে ব্যাথা কমে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেআইনি ভাবে গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ রাইস মিলের বিরূদ্ধে
দুরদুরান্ত থেকে ভক্তদের জন্য তাই এই ভাত আর কচুবাটা অমৃত। আশ্রমের এক কর্মী বলেন, প্রতিবছরই এই উৎসব হয়ে থাকে। এই কচুবাটা উৎসব ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠে এলাকার মানুষ। এই কচুবাটা আর ভাত খেতে এবছর প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ আসছেন। আশ্রমের এক ভক্ত শশাঙ্ক শেখর দাস বলেন, এই কচুবাটা অমৃত সমান। প্রতিবছরই কচুবাটা খেতে এই আশ্রমে আসি।
আরও পড়ুনঃ টোটো দূর্ঘটনা কমাতে নির্দেশিকা কেতুগ্রাম প্রশাসনের
বাঙালপাড়া আর কলোনীগুলোতে অনেক বাড়িতেই পরিব্রাজাচার্য দুর্গাপ্রসন্নের আসন পাতা। গোটা দেশে শ্রীগুরু সঙ্ঘের অনেক আশ্রম আছে। কিন্তু এই তিনদিনের উৎসব বর্ধমানের নীলপুরেই হবে, কঠোর নির্দেশ ছিল দুর্গাপ্রসন্নের। মারা যাওয়ার আগে শেষ কটা দিন এখানেই থাকতেন তিনি।
Malobika Biswas