বাসক পাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু বাচ্চাদের খাওয়াতে পারলে সদির্কাশি থেকে অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়। বাসক পাতার রস যদি আমরা স্নানের কিছুক্ষণ আগে মাথায় দিয়ে রাখি এবং তার পর ভাল করে মাথা ধুয়েনি তাহলে উকুন মরে যায়। আমাদের শরীরে ছোট ফোঁড়া অথবা ব্যথা দেখা দিলে যদি বাসক পাতা ভাল করে বেঁটে ফোঁড়ার উপর লাগানো যায় তাহলে ব্যথা কমে যায়। যদি ঠান্ডা লাগার কারণে বুকে কফ জমে থাকে এবং অতিরিক্ত কাশি হয় , কফ যদি না ওঠে তাহলে সেক্ষেত্রে বাসক পাতার রস ১ চামচ মধুসহ খেলে বুকে জমে থাকা কফ খুব সহজেই উঠে আসবে ।
advertisement
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন: প্রতি বছর জৈষ্ঠ্য মাসে কদমগাছে একটি মাত্র ফুল ফোঁটে! তাও মাত্র একবার! জয়নগরের এই ঘটনা অবাক করবে!
প্রস্রাব করার সময় যদি কারও জ্বালা করে যন্ত্রণা করে তাহলে তারা বাসক গাছের ফুল বেঁটে মিছরি দিয়ে সরবত করে খেলে এই রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়। বাসক গাছের দশ থেকে পনেরোটি কচি পাতা এবং এক টুকরো কাঁচা হলুদ এক সঙ্গে বেঁটে দাদ বা চুলকানিতে লাগালে কিছু দিনের মধ্যে তা ভাল যায়। বাসক পাতার রস বেঁটে যদি এক কাপ করে নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে জন্ডিস রোগ থেকে সহজেই নিস্তার পাওয়া যায়। এছাড়াও পাইরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে বাসক পাতা ভাল করে ধুয়ে জলে সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে এই সমস্যা ধিরে ধিরে ঠিক হয়ে যাবে । এছাড়াও জ্বর, শ্বাসক্টজনিত সমস্যা থাকলেও বাসক পাতা থেকে বিশেষ উপকারিতা পাওয়া যায়। সকল বিষয় শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য শরীরে বিশেষ সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
Bonoarilal Chowdhury