আজকাল পাড়ায় বেশকিছু ফেরিওয়ালাকে দেখা যায় যারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে রেশনের চাল, গম কেনেন। আসলে বেশ কিছু রেশন গ্রাহক কম দামে ডিলারের কাছ থেকে চাল, গম নিলেও তা নিজেরা বাড়িতে খান না। এঁরাই সামান্য কিছু বেশি দামে সেই চাল, গম এই ফেরিওয়ালাদের বিক্রি করে দেন। ফেরিওয়ালারা আবার সেই চাল গম নিয়ে গিয়ে বড় বড় দোকানে বিক্রি করে। দরিদ্র পরিবারের কালাচাঁদ পাল তেমনই এক ফেরিওয়ালা। প্রতিদিনের মতো শনিবারেও তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে রেশনের চাল গম কিনতে বেরিয়েছিলেন। এদিন গিয়ে হাজির হন পূর্ব বর্ধমানের কালনার শাসপুর, মোল্লাপাড়া এলাকায়। সেখানে পাড়ায় হাঁটতে হাঁটতে যখন চাল-গমের সন্ধান করছেন সেই সময় খোকন মণ্ডল নামে এলাকার এক যুবক এগিয়ে আসে। সে ওই ফেরিওয়ালার কাছে রেশনের চাল, গম কেনার লাইসেন্স দেখতে চায়। যথারীতি এমন কোনও লাইসেন্স ছিল না ফেরিওয়ালা কালাচাঁদের কাছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, লাইসেন্স দেখতে চাইলে ওই ফেরিওয়ালা বলেন, আমি গরিব মানুষ, এইসব আমার কাছে নেই। এরপরই খোকন মণ্ডলের সঙ্গে কালাচাঁদের তর্কাতর্কি শুরু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: মালদহের বোমা বিস্ফোরণে আহতকে পুলিশ মুর্শিদাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করল! কারণ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে
পূর্ব বর্ধমান খবর | Purba Bardhaman News
হরেকৃষ্ণ মণ্ডল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তর্কাতর্কি শেষে এক পর্যায়ে কালাচাঁদ জানায়, সে এই এলাকা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। অন্য জায়গায় গিয়ে কিনবে। ওই ফেরিওয়ালা পিছন ফিরতেই পেরেক গাঁথা একটি কাঠের পাটাতন দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে শুরু করে খোকন মণ্ডল! এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে আশেপাশের বেশ কিছু বাসিন্দা ওই ফেরিওয়ালাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। সেই সময় অভিযুক্ত খোকন বাড়ি থেকে একটি বড় ছুরি এনে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে লোকজনকে। আর তাতেই ওই ফেরিওয়ালা ছাড়াও গুরুতর জখম হন আলিম শেখ, গৌরাঙ্গ হালদার, বাবলু মুর্মু ও আজমিরা বিবি। তাঁরা সকলেই ওই পাড়ার বাসিন্দা।
গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকার বাকিরা ফেরিওয়ালা সহ ওই পাঁচজনকে দ্রুত কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। এই মুহূর্তে সেখানে ভর্তি আছেন সকলে, চিকিৎসা চলছে। এদিকে খবর পেয়ে এলাকায় এসে পুলিশ অভিযুক্ত খোকন মণ্ডলকে আটক করেছে।