TRENDING:

Purba Bardhaman: ভিন ধর্মে প্রেম করায় খুন, গ্রেফতার বাবা ও দাদা

Last Updated:

নিজের মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুনের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর খুনি বাবা ও দাদাকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা করলেন বর্ধমান জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারপতি সুব্রত চ্যাটার্জি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান : নিজের মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুনের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর খুনি বাবা ও দাদাকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা করলেন বর্ধমান জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারপতি সুব্রত চ্যাটার্জি। সাজা প্রাপ্তরা হলেন নিহত তুরুণীর বাবামহম্মদ মুস্তাক ও দাদা মহম্মদ জাহিদ। তাঁদের বাড়ি বিহারের মুজাফর জেলার মোশাহারি ব্লকেএলাহাদাদ গ্রামে। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবীরা অবশ্য এই রায়ে খুশি নন। তাঁরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন । যদিও বর্ধমান আদালতের আইনজীবীরা একাংশ মনে করছেন হত্যা কাণ্ডের ঘটনাটি নজিরহীন। তাই বিচারে দোষী সাব্যস্ত নিহতের বাবা ও দাদাকে বিচারক দৃষ্টান্ত মূলক সাজার কথা শুনিয়েছেন । ২০১৮ সালের ৩১আগস্ট জামালপুর থানার নবগ্রাম ময়না এলাকায় দু নং জাতীয় সড়কের ধারে গলায় দড়ি ও ওড়না জড়ানো এক যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যুবতীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতও করা হয়।
advertisement

দেহ ময়নাতদন্তে পাঠালে যুবতীর ঊরুতে মেহেন্দী দিয়ে লেখা বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর ও 'করণ' বলে একটি নাম পাওয়া যায়। এরপরই মোবাইল নম্বারের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে যুবতীর নাম জাহানারা খাতুন (১৯) । বাড়ি বিহারের মুজাফফর জেলার মোশাহারী চক এলাহাদাদ গ্রামে। কেসের সরকারী আইনজীবি সঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, গ্রামেরই করণ কুমারের সঙ্গে ওই যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ভীনধর্মে প্রেমের সম্পর্ক মানছিল না যুবতীর পরিবার। তার জন্য যুবতীর উপর অত্যাচার চালানো হত। এমনকি যুবতী দু বার করনের বাড়িতে পালিয়েও যায়। যুবকের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে এনে যুবতীকে এরপর শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হত বলে অভিযোগ। পরে কলকাতায় বিয়ে দেওয়ার নাম করে যুবতীকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় যুবতীর বাবা মহঃ মোস্তোফা ও দাদা মহঃ জাহিদ।

advertisement

আরও পড়ুনঃ Purba Bardhaman: কার্জন গেট চত্বরকে বিজ্ঞাপন মুক্ত করতে উদ্যোগী পৌরসভা

রাস্তায় যুবতীকে নৃশংসভাবে খুন করে দেহ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রামের ময়না এলাকায় দু নং জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে পালিয়ে যায় বাবা ও দাদা। এরপর পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। ১০ দিনের মধ্যেই মূল অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে ফেলা হয়। তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে তদন্তকারী অফিসাররা কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকা থেকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীর দাদা জাহিদকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করে বাবা মুস্তাকের জড়িত থাকার কথাও জানা যায়। এর পর কলকাতার তিলজলা এলাকায় হানা দিয়ে মুস্তাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দু’জনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে 'করণ’ হল জাহানার প্রেমিক। সে ভিন ধর্মের জেনেও জাহানা তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তা মেনে নিতে না পেরেই জাহানাকে তারা খুন করে।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ Maa Canteen: এ কী হাল মা ক্যান্টিনের! দেখুন ভিডিও

যদিও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবি চৌধুরী নাজমে আলম জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। অন্যদিকে তাদের ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী করেন বোন কে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত যুবতীর দাদা মহঃ জাহিদ। বর্ধমান ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক সুব্রত চ্যাটার্জীর এজলাসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২,২০১ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। দীর্ঘদিন বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিচারক সুব্রত চ্যাটার্জী অভিযুক্তদের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

Malobika Biswas

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Purba Bardhaman: ভিন ধর্মে প্রেম করায় খুন, গ্রেফতার বাবা ও দাদা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল