জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বরের পাটিকেল ডাঙার বাসিন্দা আলি শেখ (৩৬) ও মনোয়ারা বেগমের দুই সন্তানের মধ্যে বড় আশিক। সে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। পেশায় রাজমিস্ত্রি আলি শেখ একাধিক বিয়ে করেছেন। অন্যদিকে আলির নিজের ভাই আবু শেখও রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বছর দশেক ধরে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে । গ্রামেই চালা ঘরে ওই মহিলাকে নিয়ে থাকত আবু। অভিযোগ, দিন পনেরো আগে ভাইয়ের প্রেমিকাকে নিয়ে চম্পট দেয় আলি শেখ। আর সেই রোষেই আবু শেখ নিজের ভাইপোকে খুন করেছে বলে অভিযোগ।
advertisement
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অনান্য দিনের মত এদিনও স্কুলে গিয়েছিল আশিক শেখ । বিকেল পর্যন্ত সে বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের, পেট থেকে বের হল ডিওডোরেন্টের বোতল !
এ বিষয়ে মৃতের মামা তাহের উল হক বলেন, " আমরা জানতে পারি বিকেলের দিকে আবুর সঙ্গে আমার ভাগ্নেকে নাকি ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সেই কারণে ভাগ্নে কোথায় জানার জন্য তাকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সে মুখ খোলেনি । "
জানা গিয়েছে এর পর আবুকে একটি গাছে বেঁধে রাখা হয় । এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনে । শেষে পুলিশের জেরায় আবু স্বীকার করে, বৃহস্পতিবার বিকেলে সে তার ভাগ্নেকে প্রথমে গ্রামের কবরস্থানের কাছে নিয়ে গিয়েছিল । সেখানে ওই শিশুকে সে শ্বাসরোধ করে খুন করে । তারপর ঘাস বোঝাই একটি বস্তায় ভাইপোর মৃতদেহটি ভরে কবরস্থানের পাশে উত্তর দিকে ফাঁকা জায়গায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে আসে ।
আরও পড়ুন : হিজলির ইকোপার্ক থেকে উধাও হরিণ, ঘনাচ্ছে রহস্য
তার কাছে এই স্বীকারোক্তি শোনার পর রাতের দিকে শিশুর মৃতদেহটি উদ্ধার করে আনে পুলিশ । শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । মৃত শিশুর কাকা ও বাবার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ।