জেলার কেতুগ্রামের পাচুন্দি থেকে সারা বছরই হাওড়া হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি হয়। আর পুজোর মরশুমে রপ্তানি আরও বাড়ে । একদিকে যখন প্রায় গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পদ্মের আকাল দেখা দিয়েছে। পুজোতে কোথা থেকে এত ফুল আমদানি করা হবে সেই চিন্তা কপালে ভাঁজ ফেলেছে কমিটিগুলোর, ঠিক তখনই পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম দেখাচ্ছে আশার আলো। এখানে অন্যান্য বছরের তুলনায় খুব একটা কম চাষ হয়নি এবং ফলনও বেশ ইতিবাচক হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বহু বছর ধরে এই গ্রামে কোনও দুর্গা প্রতিমা আসে না, কারণ জানলে অবাক হবেন
কেতুগ্রামের পাচুন্দির পদ্ম চাষিরা আশা করছেন এবছর হয়তো অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু বেশি লাভ হবে তাদের। গত বছর যেখানে প্রতি ১০০ পিস ফুল ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন, এবছর তা বেড়ে হয়তো ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা হতে পারে। কেউ কেউ এখানে গত ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে চাষ করছেন পদ্ম। তাদের কথায়, মাঝে মধ্যে আকাল দেখা দেয় প্রাকৃতিক কারণে। আবার অনেক সময় চাষিরা করতে চান না এই ফুলের চাষ কারণ এই পদ্ম চাষে বেশ পরিশ্রম করতে হয়। জলাশয় থেকে ফুল তুলে আনাও যথেষ্ট ঝক্কির কাজ।
আরও পড়ুন: খরচ প্রায় তিন লক্ষ! বর্ধমানের দুর্গা মূর্তি যাচ্ছে আমেরিকায়! জানুন
অন্য জেলায় বেশ কিছু জলাশয়ে চাষ হলেও তা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে। আবার কোথাও জলাশয়ের বাঁধ ভেঙ্গে গাছ ও ফুল ভেসে গেছে জলের তোড়ে। এর ফলে পুজোতে পদ্মের যোগান দিতে কমিটিগুলোকে বেশ বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী