প্রহৃত সওকত হাসান গোটা ঘটনা সবিস্তার উল্লেখ করে আউশগ্রাম থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, সওকতহাসান পুবার গ্রামেরই বাসিন্দা। হাতুড়ে চিকিৎসক হিসাবে তিনি এলাকায় পরিচিত। গ্রামেই রয়েছে তাঁর চেম্বার। সওককের গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন এক গ্রামবাসী। এরপরই পুবার গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে গ্রামে সালিশিসভা বসায় ওই ব্যক্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: মল্লারপুরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মুখ খুললেন মমতা, ক্ষতিপূরণ-সহ বড় ঘোষণা
সভায় উপস্থিত হওয়ায় জন্য সওকত হাসান মণ্ডলকে ডেকে পাঠানো হয়। সওকত সেখানে গেলে সভায় উপস্থিত থাকা সকলে তার উপর চড়াও হয়। সওকতকে খুঁটিতে বেঁধে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। গলাতে পরিয়ে দেওয়া হয় জুতোর মালা। পাশাপাশি চলে লাথি কিল, চড়, ঘুঁষি। শেষে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মাটি নিয়ে খেলা, লাল মাটির দেশের বিশেষ উদ্যোগে এক টুকরো ছেলেবেলার ছবি
ইতিমধ্যেই সওকতকে মারধরের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সওকত হোসেন মন্ডল বলেন, তিনি সামাজিক কাজ করেন সেটা অনেকেরই ভালো লাগে না, তাই এভাবে মারধর করেছে তিন ব্যক্তি। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি।
মালবিকা বিশ্বাস