এই কালভার্টটি ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ফিরোজের বিরুদ্ধে। তাই এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখান মঙ্গলবার। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন পঞ্চায়েত সদস্যই এই কাজটি করেছেন। বিকল্প রাস্তা না করে কি করে এই কালভার্টি ভাঙ্গা হল তা বারবার জানতে চেয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা আক্রম করেসি জানালেন, গ্রামবাসীদের অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্য ফিরোজ কালভার্ট ভেঙ্গে দিয়েছেন। কালভার্টের সামনে একটি প্রাইমারি এবং পিছনে একটি হাই স্কুল রয়েছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যাতায়াত করে যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তার দায় কে নেবে?
advertisement
খোদ পঞ্চায়েত সদস্য কালভার্ট ভেঙে দিয়েছেন এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বর্ধমান জেলা জুড়ে অসন্তোষের পরিবেশ তৈরি হয়। বিতর্কের সৃষ্টি হয় স্থানীয় শাসকদলের মধ্যে। তারপরই এদিন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য শেখ ফিরোজের উপস্থিতিতে কালভার্ট তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাতারাতি ভেঙে ফেলা হয়েছে কালভার্ট! বিক্ষোভে বাসিন্দারা, অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত সদস্য শেখ ফিরোজ জানান, পুরো ঘটনা মিথ্যে। আমার উপর মিথ্যা কাদা ছড়ানো হয়েছে। এই কালভার্ট ভেঙ্গে গেছিল যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছিল সেজন্য আমরাই পঞ্চায়েতে একটি দরখাস্ত করে এটা পাস করায় ।
এছাড়াও এই সম্পূর্ণ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ কোনওভাবেই ব্যাহত হবে না।