বর্ধমান শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে আউশগ্রামেই রয়েছে বেশ কিছু দ্রষ্টব্য স্থান। তার মধ্যে একটি হল চাঁদনী পার্ক (জলটুঙ্গি)। একটি ছোট হ্রদের মাঝখানে দিকনগর গ্রামে অবস্থিত চাঁদনী জলটুঙ্গি। এই স্থানটি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি অনবদ্য জায়গা।
১৭১০-এর মহারাজা কীর্তিচাঁদ নির্মাণ করেন এই জলটুঙ্গি। আজ থেকে প্রায় এক বছর আগেও দীগনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই জায়গাটি ছিল একটি জঞ্জালে ভরা জঙ্গল, উঁচু ঢিবি আর ভগ্নাবস্থায় থাকা একটা নির্মাণ। তবে বর্তমানে এই জায়গা হয়ে উঠেছে দ্রষ্টব্য স্থান।
advertisement
কী ভাবে যাবেন এই চাঁদনী জলটুঙ্গিতে?
হাওড়া বা শিয়ালদা থেকে ট্রেনে করে আপনি যেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ব্রেক করে যেতে হবে।ফলে নিজস্ব গাড়ি থাকলেই সুবিধে। কলকাতা থেকে সড়ক পথে জলটুঙ্গির দুরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। যদি আপনি নিজস্ব গাড়িতে যান তাহলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আপনাকে যেতে হবে গলসি, এরপর সেখান থেকে পারা স্টেশন রোড ধরে চলে যান গুসকরা রোড। এরপর গ্রামের রাস্তা ধরে পৌঁছে যাবেন দিকনগর গ্রামে। সেখানকার চাঁদনী এলাকাতেই অবস্থিত এই চাঁদনী জলটুঙ্গি।
আরও পড়ুন: জেলায় 'স্ক্রাব টাইফাস'-এর থাবা, হাসপাতালে ভর্তি ৪ শিশু
এখানকার পরিবেশ:
এক অপূর্ব মনোরম দৃশ্য আপনার চোখকে মুগ্ধ করে দেবে। গ্রাম বাংলার অপরূপ রূপ দেখতে পারবেন আপনি। একটি ছোট হ্রদের মাঝখানে অবস্থিত চাঁদনী জলটুঙ্গি। চারিদিকে জল আর মাঝে একটি সৃতিসৌধ। এর পাশেই আছে সুদৃশ্য পার্ক, যা বেশ মনোরম দৃশ্য।
কোথায় থাকবেন?
তেমন বিশেষ থাকার জায়গা নেই বললেই চলে। তবে থাকার খুব বেশি প্রয়োজনও নেই। কারণ এখানে আপনি একদিনে ঘুরে অনায়াসে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ঝলক সোনম কাপুরের পুত্রসন্তানের! মাসি রিয়ার চোখের কোণে জল, আবেগে ভাসল পরিবার
বেশ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটি পড়েছিল অবহেলায়। তবে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে বর্তমানে এই চাঁদনী জলটুঙ্গি হয়ে উঠেছে ভ্রমণ পিপাসুদের একটি পছন্দের জায়গা।
Malobika Biswas