ছাত্রটি প্রথমে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন তারপরে দেওঘর রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশোনা করে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে জুওলজি অনার্সে ভর্তি হয়। রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে গত ১৮ জুলাই ভর্তি হয়ে বলে জানা যায়। হঠাৎই মিশনের পুকুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় তার ।
আরও পড়ুন: এলাকায় উৎপাত বাড়ছে বহিরাগতদের! আতঙ্কে খনি এলাকার মানুষ
advertisement
ঘটনাটি ঘটে সকাল ন’টা থেকে সাড়ে নটা নাগাদ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজরা। পরবর্তীতে ওই ছাত্রের মৃতদেহ বর্ধমানের বাড়িতে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন এবং বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা দিতে এলে পরিবারসহ এলাকার মানুষজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ ।
মৃত ছাত্রের কাকা সুবীর গোস্বামী জানান, “একজন সাঁতার শেখা ছাত্রের কী করে জলে ডুবে মৃত্যু হয় ? আমরা চাই এর পূর্ণাঙ্গ সঠিক তদন্ত হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক।”
রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে নিরাপত্তার অভাবেই ছাত্রের এই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৃতের পরিবার। এমনকি সেখানে কোনও সিসিটিভিও ছিল না বলে দাবি করেন পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: বর্ধমানে টোটোর দৌরাত্ম্য! ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের
অন্যদিকে এলাকার মানুষরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে ওই সন্ন্যাসীদের উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। অন্যদিকে ছাত্রের মৃতদেহ নিয়ে আসা বেলুড় মঠের সন্ন্যাসী উজ্জল মহারাজ জানান,
” ছাত্রটি সাঁতার জানতো বলে সাঁতার কাটতে গিয়েই ডুবে যায়। আমরা ইতিমধ্যেই ওখানকার থানায় এই বিষয়ে জানিয়েছি তারাও তদন্ত করে দেখছে। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে নিরাপত্তার অভাব। সেটা তদন্ত হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। একটি ১৮ বছরের ছাত্র তার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে। কাউকেই ২৪ ঘণ্টা সিকিউরিটি দিয়ে রাখা সম্ভব নয়।