এমনই ঘটনার কথা উঠে এসেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থেকে। দশ বছর ধরে সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে এভাবেই ভাতার-সহ আশপাশের এলাকার কুকুরদের সেবা করে আসছেন উমেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী টুম্পা রায়। ভাতারের বাসিন্দা উমেশ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাঁর স্ত্রী পশুপ্রেমী। মূলত সেখান থেকেই এই কাজের সূত্রপাত। প্রতিদিন প্রায় দশ কেজি চালের ভাত ও দুই থেকে তিন কেজি মাংস তাঁরা কুকুরদের জন্য নিয়ে আসেন। সঙ্গে থাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ। উমেশ আরও জানান, এই বিপুল পরিমাণ খরচের সবটাই উঠে আসে তাঁর ব্যবসা ও পারিবারিক সম্পত্তি থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: কুয়াশায় আস্ত জাহাজ ধাক্কা মারল নদীর পাড়ে, ভোর রাতে ঘুম ভেঙে কী দেখল কুলপি!
আরও পড়ুন: স্ত্রীয়ের ছবি হাতে খুঁজেই চলেছেন স্বামী, ঘরে কেঁদে অসুস্থ ২ দুধের শিশু!
এই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী বলেন, ''দীর্ঘ দশ বছর ধরে এই কাজ চলছে। প্রথমে ৪/৫টা কুকুরকে দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ১০০ থেকে ১৫০ কুকুর আছে। ভাতারের বাজার থেকে শুরু করে স্টেশন চত্বরেও খাবার দিই।'' এছাড়াও উমেশ জানান তাঁর স্ত্রী টুম্পা কুকুর ভালবাসেন, সেই কারণেই এই উদ্যোগ। সব জিনিস কেনার খরচ নিজেদের টাকা দিয়েই। কোনও রকম সাহায্য পান না। খাবার ছাড়াও দৈনিক প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার ওষুধ লাগে।
ব্যবসায়ী জানান, নিজের ব্যবসার টাকা এবং পৈতৃক সম্পত্তি থেকেই সকল খরচ উঠে আসে। দীর্ঘ ১০ বছর পর বর্তমানে তিনি একটি ট্রাস্ট খুলেছেন, যার নাম রেখেছেন প্রাণিবন্ধু ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। এছাড়াও কুকুরদের কিছু হলে নিরাপদে রাখার জন্য বর্তমানে ঘরেরও ব্যবস্থা করেছেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকেরও বন্দোবস্ত করবেন বলে জানান দম্পতি।