বর্তমানে আলোচিত এবং জনপ্রিয় একটি বিষয়বস্তু হল নীল রাস্তা। কালো পিচের রাস্তার পরিবর্তে গ্রামীণ এলাকায় তৈরি করা হয়েছে নীল রঙের রাস্তা। এই নীল রাস্তা তৈরি করা হয়েছে বিটুমিনাসের সঙ্গে অব্যবহৃত প্লাস্টিক মিশিয়ে। পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না বিধানসভা এলাকার উচালন পঞ্চায়েতের একলক্ষ্মী টোল প্লাজা থেকে রাউতারা সেতু পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ৩২০ মিটারের এই রাস্তাটি।
advertisement
প্রশাসনের কথায় অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে বর্জ্য প্লাস্টিক মিশিয়ে তৈরি হয়েছে এই রাস্তা। পিচ রাস্তার থেকে তা বেশি টেকসই হবে বলে আশা ইঞ্জিনিয়ারদের। রায়না ২ ব্লকের বিধায়িক শম্পা ধারা এই বিশেষ রাস্তা নির্মাণের কারণ ও সুফল প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ভারতে প্রথম এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই রাস্তাটি একলক্ষ্মী টোল প্লাজা থেকে রাওতারা ব্রিজ পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে। বিটুমিনের পিচের সঙ্গে প্লাস্টিক মিশিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাধারণত মরুভূমিতে এই ধরনের রাস্তা দেখা যায়। কারণ সেই সমস্ত এলাকায় গরম অনেক বেশি থাকে যে কারণে পিচ গলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ধরনের রাস্তায় জল জমার প্রবণতা অনেক কম এবং পিচ গলার সম্ভাবনাও কম।
বিধায়ক শম্পা ধারা আরও জানান, এই ৩২০ মিটার রাস্তা তৈরি করতে মোট ২২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে ৷ রাজ্য সরকারের সাহায্যে এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। আগামীতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই ধরনের রাস্তা তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এই নিয়ে রাস্তা প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি বিটুমিনাসের সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে অব ব্যবহৃত প্লাস্টিক মিশিয়ে এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে যার ফলে রাস্তার পিচ গরম কম হবে এবং জল জমার প্রবণতা কম থাকবে। ভিন্ন ধরনের এই রাস্তা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। এই এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা এই রাস্তা প্রসঙ্গে জানান, ‘‘খুবই ভাল উদ্যোগ। আমি নিজে এই রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে দেখেছি, বৃষ্টি হলেও সেরকম স্লিপ হচ্ছে না । এখন তো বেশ ভালই লাগছে তবে দেখার বিষয় কতদিন টেকসই হয়।’’
এই রাস্তা রাজ্য তথা দেশের মধ্যে প্রথম উদ্যোগ বলে দাবি করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এই ধরনের রাস্তা পরিবেশ বান্ধব, সেইসঙ্গে সাশ্রয়ী ও টেকসই ৷ তাই রাজ্যের মধ্যে প্রথম প্রজেক্ট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে এই রাস্তা যা ফলপ্রসূ হলে আগামী দিনে জেলার অন্যান্য প্রান্তেও তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার বিধায়ক।
রিপোর্টার- বনোয়ারিলাল চৌধুরী