প্রায় প্রত্যেকটি পৌরসভা থেকেই প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে আলাদা আলাদা দুটি বালতি।যে দু’টি বালতির একটিতে পচনশীল এবং অপরটিতে অপচনশীল বর্জ্য পদার্থ গুলি ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই বর্জ্যই পৌরসভার দেওয়ার নির্দিষ্ট গাড়িতে ফেলতে হবে আলাদা আলাদা করে, এমনটাই আর্জি কর্মসূচিটির আয়োজকদের। বর্ধমান শহরে সুইচ অন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও বর্ধমান সদর সামাজিকই ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে বর্ধমান পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে চলছে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের পাইলট প্রজেক্ট।
advertisement
আরও পড়ুন:
তারই অংশ হিসেবে এদিন এই কর্মসূচিটি পালিত হয়। গৃহস্থালির আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট গাড়িতে ফেলার বিষয়ে সচেতনতা প্রচার এবং সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে আবর্জনা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে উৎসাহী করে তুলতে এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিত কুমার শর্মা।
আরও পড়ুন:
এই কর্মসূচিটির সহযোগী সংস্থা সুইচ অন ফাউন্ডেশনের তরফে সংস্থার সদস্য সন্দীপন সরকার, বিনয় জাজুদের কথায়, এই কর্মসূচির আওতায় ৪০ টি বাড়িতে গৃহস্থদের হতে ৩০০ গ্রাম করে আদা তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছেন ভবিষ্যতে নানারকম ভাবে উদ্যোগ নিয়ে এই ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পদক্ষেপ করা হবে সংশ্লিষ্ট পৌর পিতার সাহায্য নিয়ে।
আরও পড়ুন:
এদিনের এই অভিনব প্রচারাভিযান প্রসঙ্গে বর্ধমান পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিত কুমার শর্মা জানান, প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ বর্ধমান সদর সামাজিকী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও সুইচ অন ফাউন্ডেশন কে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনজিও এর সাহায্যে মানুষকে কিভাবে আবর্জনা ফেলতে হয়, শুকনো আবর্জনা কোথায় ফেলবে এবং ভিজে আবর্জনা কোথায় ফেলবে সেই নিয়ে একটা বার্তা দিই। কী কর্মসূচিটা ঠিক মতো চলছে কিনা। আমরা ৪০ থেকে ৫০ জনের বাড়ি যাই, গিয়ে দেখি না যেভাবে আমাদের এনজিও বার্তা দিয়েছিল সেভাবে আবর্জনাকে আলাদা আলাদা করে দু’জায়গায় ফেলছে।
সাত সকালে আবর্জনার পরিবর্তে আদা উপহার পেয়ে খুশি হরপ্রীত সিং সৌমিক দের মতো বাসিন্দারা। তাদের কথায়, নীল আকাশছোঁয়া বাজারে সামান্য হলেও এই আদা উপহার হিসেবে খানিকটা হলেও বোঝা কমাল, সঙ্গে সঙ্গে সকলের সচেতনতায় চমকও থাকল। প্রসঙ্গত এর আগেও সুইচ অন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা জুড়ে বিভিন্ন পরিবেশ বান্ধব কর্মসূচি চালানো হয়েছে। বর্ধমান শহরে আরো একবার প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবেশ বান্ধব বার্তা তথা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে কর্মসূচি পালন করলো সুইচ অন ফাউন্ডেশন।
Bonoarilal Chowdhury