বর্তমানে আমি এই মন্দিরের দায়িত্বে আছি । আমরা বংশকাল পুরোহিত! রায় পরিবারকে মা স্বপ্ন দিয়েছিল , তখন থেকে রায় পরিবার মায়ের পুজোপাঠ করে এসেছে। আজকে আমি ২২ পুরুষ আছি । ২১ পুরুষ মায়ের পুজো করতে করতে গত হয়েছেন । ভক্তদের সাহায্য তেই মন্দির বেড়েছে । আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি আমি । কোগ্রামে অজয় নদের ধারে মায়ের এই মন্দির রয়েছে । জানা গেছে এক সময় এই মন্দির প্রাঙ্গণ জঙ্গলে ঘেরা ছিল । পরবর্তীতে জঙ্গল কেটে এই মন্দির স্থাপন করা হয় । এখানে দেবীর বাৎসরিক পুজো অনুষ্ঠিত হয় দুর্গাপুজোর সময় । এছাড়াও বছরে একদিন পয়লা মাঘ উজানী মেলা চলে একদিনের জন্য । অজয় নদের বুকে বালির মধ্যে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় । এই মন্দিরে দেবীর জন্য দৈনিক দেওয়া হয় নিত্য সেবা ।
advertisement
আরও পড়ুন:
এই প্রসঙ্গে সোমনাথ রায় আরও জানান, মায়ের নিত্য সেবা আছে , অন্নভোগ আছে । অন্নভোগে মাকে মাছ দিতে হয় । মাছ ছাড়া মায়ের ভোগ হয় না । এখানে বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয় দুর্গা পুজোর সময়। বছরে মাত্র একদিন মা মাছ খায় না। সেটা হচ্ছে অষ্টমীর দিন । তবে আগে মাছ না হলেও মাছের ঝুঁড়ি মায়ের সামনে রাখতে হত। কিন্তু এখন দৈনিক মাছ দেওয়া হয় , আমি না পারলে মায়ের ভক্তদের সাহায্যে মাছ ঠিক চলে আসে।
আরও পড়ুন: এই নৈবেদ্য ছাড়া মনসা পুজো অসম্পূর্ণ ! জেনে নিন সেই বিশেষ নৈবেদ্যর নাম!
মঙ্গলকোটের কোগ্রামে অবস্থিত এই সতীপীঠে আপনি চাইলে ঘুরতেও আসতে পারেন । একদম অজয় নদের ধারে অবস্থিত এই মনোরম পরিবেশের জায়গা দেখে মুগ্ধ হবেন আপনিও। চিন্তার কোনও কারণ নেই , মন্দির প্রাঙ্গণেই রয়েছে থাকা এবং অন্নভোগ গ্রহণের ব্যবস্থা। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ভোগের জন্য ফোন করে অথবা সকাল সকাল এসে মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে । রাত্রি যাপনের জন্য আপনাকে দিতে হবে ৬০০ টাকা এবং ভোগের জন্য এক একজনের লাগবে ১০০ টাকা । ফোন করে ভোগ বুকিং করলে ৫০/১০০ জনেরও ভোগ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ফোন – ৮৩৪৮৯৬৮২৪৪।
Bonoarilal Chowdhury