তখন থেকেই অজয়ের কাছে থাকা পুরানো সাগিরা গ্রাম ছেড়ে বাঁধের অপর পাড়ে চলে গেছে সবাই। সেখানেই গড়ে উঠেছে নতুন সাগিরা গ্রাম। গ্রামের কিছু বাসিন্দা উত্তম দাস, তপন দাস, নানাই বিশ্বাসরা বলেন, ১৯৭৮ সালের পর থেকেই গ্রাম ফাঁকা হচ্ছিল। তারপর ২০০০ সালের বন্যার পর আর কেউ গ্রামে বাস করার সাহস পাইনি। তবে আজও পুরানো সাগিরার জন্য মন কাঁদে আমাদের।
advertisement
পুরানো সাগিরা গ্রামে আজও আছে একতলা, দোতলা পাকা বাড়ি, ঠাকুর মন্দির। কিন্তু এই গ্রাম এখনও পড়ে রয়েছে জনমানবহীন হয়ে। বাড়ি ঘর থাকলেও আজ আর দেখা পাওয়া যায়না মানুষের । মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া পঞ্চায়েতের পুরানো সাগিরা গ্রাম একসময় জমজমাট ছিল।
গ্রামটি ছিল ছবির মত সাজানো। গ্রামে ছিল খেলার মাঠ, চাষের জমি, পুকুর, মন্দির, বসত বাড়ি সবকিছুই। একসময় দুর্গাপুজোতেও মেতে উঠত গ্রামবাসীরা। কিন্তু সেই সব কিছুই আজ স্মৃতির পাতায়। সব স্মৃতি মুছে দিয়েছে বন্যা ।
এখন এই জায়গায় আর কেউ থাকেনা । বন্যার কারণে গ্রাম ছেড়ে অন্য জায়গায় উঠে যেতে হয়েছিল অনেককেই। বন্যায় খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।প্রায় তিনশ পরিবার বাস করত ওই গ্রামে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘মনখারাপ লাগে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উঠে গিয়ে নতুন করে সংসার পাততে হয়েছে। ঘর করতে হয়েছে। বানানো ঘর ছেড়ে দিয়ে যেতে মায়া তো লাগবেই। এখনও আমাদের এখানে জমি জায়গা সবই আছে ।’’
আরও পড়ুন: বহু বছর ধরে এই গ্রামে কোনও দুর্গা প্রতিমা আসে না, কারণ জানলে অবাক হবেন
অনেকটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে পুরানো সাগিরা গ্রাম। এখনও প্রায় পাঁচ থেকে ছটি পাকা বাড়ি রয়েছে। তবে সেগুলোর অবস্থাও ভাল নয়। গ্রামের মধ্যে যে কালী মন্দির ছিল সেটাও এখন জঙ্গলে ঢাকা । বন্যার কারণে আজ সম্পূর্ণফাঁকা একটা আস্ত গ্রাম ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী