জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিবরণ জেনে পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা রুজু করে সায়ন্তিক গুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতকে পেশ করা হয় কালনা মহকুমা আদালতে। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার ডাঙ্গাপাড়া নিবাসী উৎপল গুপ্ত পেশায় ছিলেন সেলসম্যান।
advertisement
মৃতের স্ত্রী শিপ্রা গুপ্ত বলেন, তাঁর স্বামী মদের নেশা করতেন। শনিবার মদ খেয়ে ছিল তাঁর স্বামী। দুপুরে খাওয়া দাওয়া সেরে সবাই শুয়েছিলেন। ওই সময় গাড়ির চাবি নিয়ে আমার স্বামী ফের মদ খেতে যাচ্ছিল। তা দেখে তাঁর ছেলে সায়ন্তিক চাবিটি কেড়ে নিয়ে ঘরে চলে আসে। তিনি ও তাঁর ছেলে একই ঘরেই ছিলেন সেইসময়। এরপরেই হঠাৎ জোর আওয়াজ হতেই ছেলেকে বাবার ঘরে যেতে বলে ছিলেন শিপ্রা দেবী। ছেলে সায়ন্তিক ঘরে গিয়ে দেখে ভাঙা কাঁচের উপর স্বামীর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। স্বামীর গলা দিয়ে অঝোরে রক্ত বের হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ৭৫ বছর ধরে আজও হাতে লেখা সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ হয়ে আসছে আনগুনা গ্রামে
ছেলে সায়ন্তিক গুপ্ত জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা শনিবার সকাল থেকে তিন চারবার মদ খেয়ে ঘরে এসেছিল। ফের বিকালে মদ খাবার জন্য মিথ্যা কথা বলে গাড়ির চাবি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল। তাই তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে গাড়ির চাবিটা কেড়ে নিয়ে মায়ের ঘরে চলে যান। এর খানিক পরেই বাবার ঘরে জোর আওয়াজ হতেই তিনি সেখানে ছুটে যান। ওই গরে গিয়ে দেখেন, তাঁর বাবার গলা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। যদিও কালনা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেই এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নামে।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর পাশাপাশি বিষ্ণুপুর গ্রামে লক্ষ্মী পুজোও চারদিন ধরে!
মৃত ব্যক্তির ছেলেকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশের দাবি, মৃত ব্যক্তির ছেলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে ঘটনার দিন বাবা উৎপল গুপ্তর সঙ্গে তার ঝগড়া অশান্তি হয়। বাবা রাগ দেখালে বাবার সঙ্গে সায়ন্তিকের ধাক্কাধাক্কি হয়। ওই সময় টাল সামলাতে না পেরে সায়ন্তিকের বাবা দরজায় কাঁচের উপরে পড়ে যায়। কাঁচে গলা কেটে গিয়ে উৎপল বাবুর মৃত্যু হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) ধ্রুব দাস জানান, এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা রুজু করে মৃতর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Malobika Biswas