আর তারই ফলস্বরূপ এবার বিশ্বের মানচিত্রে দেশের ভদোদরা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, গুয়াহাটি, কোঝিকোড়, জয়পুর, কলকাতার মতো একাধিক শহরের নামের পাশে জায়গা করে নিল বর্ধমান। এই সাইক্লিং ক্লাবের সদস্য সন্দীপন সরকারকে আমস্টারডামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘বাইসাইকেল মেয়র’ হিসেবে নির্বাচিত করেছে। আমস্টারডামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (বি ওয়াই সি এস) শুরু করেছে ‘ফিফটি বাই থার্টি’ নামে এক উদ্যোগ। এর মূল লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০% মানুষ কে যা তাদের জন্য বাইসাইকেল ব্যবহার করানো। সেই লক্ষ্যই এগোচ্ছে এই এই সংস্থা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রশিক্ষণ ছাড়াই আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় সফল গৃহবধূ!
বায়ু দূষণ আটকাতে প্রতিটি শহরে বাইসাইকেল মেয়র হিসেবে কাজ করে একাধিক মানুষ। ইতিমধ্যেই আমস্টারডামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (বি.ওয়াই.সি.এস) মানুষকে সচেতন করতে বহু ব্যক্তিকে সেই মেয়র পদের যোগ্যতা দিয়েছে । আর সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল বর্ধমান শহরের নাম । শহর বর্ধমানের 'বাইসাইকেল মেয়র' হলেন সন্দীপন সরকার। সদ্য 'বাইসাইকেল মেয়র' হওয়া সন্দীপন সরকার জানান, তিনি নিজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাইকেল ব্যবহার করে থাকেন। কর্মস্থলে যান সাইকেল চালিয়ে।
আরও পড়ুনঃ সরকারের নির্দেশ মতো বর্ধমানের ৩৫টি ওয়ার্ডে গড়ে উঠবে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র
যেকোনো কম দূরত্বের ক্ষেত্রে তিনি সাইকেল ব্যবহার করেন। সাইকেল নিয়ে সচেতনতার বার্তাও দেন তিনি। এমনকি নিজের বিয়েতেও সাইকেল চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, বাইসাইকেল "মেয়র" হতে পেরে ভালো লাগছে। তবে সাইকেল নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজটা এবার দ্বিগুণ বেড়ে গেল। কীভবে হওয়া যায় বাইসাইকেল মেয়র? কর্মস্থলে সাইকেল চালিয়ে যাওয়া। সাইকেল ব্যবহার নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করলেই আপনিও বি ওয়াই সি এস সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাইসাইকেল মেয়রের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
Malobika Biswas