গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রী ময়না থানার চাঁদিবেনিয়া গ্রামের ২০ বছর বয়সি এক যুবকের বাড়িতে হাজির হন। নেটমাধ্যমে তাঁদের মধ্যে আলাপ হয়েছিল। সেই আলাপ থেকেই বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন ছাত্রীটি। মেয়ের পরিবারের লোকজন খণ্ডঘোষ থানায় এফআইআর করেন। তার ভিত্তিতে ময়না থানার চাঁদিবেনিয়া গ্রামের ওই যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়। শুক্রবার সকালে ওই কিশোরীকে চাঁদিবেনিয়া গ্রাম থেকে ময়না থানায় আনা হয়।
advertisement
আগের রাতেই তার বাবা-মা খণ্ডঘোষ থেকে ময়নায় এসে পৌঁছন। কিন্তু কিছুতেই প্রেমিককে ছেড়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরতে রাজি ছিলেন না কিশোরী। ওসির পা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করেন তিনি। বাবা-মায়ের থেকেও প্রেমিক তাঁকে ভালো রেখেছে বলেও পুলিশের কাছে দাবি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ওই যুবকের বয়স ২১ বছর পূর্ণ হলে তাঁর সঙ্গেই বিয়ে দেওয়ার শর্তে ওই কিশোরী বাড়ি ফিরতে রাজি হন। তাঁরা ঘরোয়াভাবে বিয়ে করেছে বলেও কিশোরী জানান।
আরও পড়ুন: সর্দি-কাশি নিয়ে বর্ধমান মেডিক্য়ালে নতুন করে ভর্তি ২২ শিশু, কালনায় চালু আলাদা বিভাগ
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় অধীর চৌধুরীকে তোপ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরূপার
থানার ওসি ওই কিশোরীকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলতে সেখানেই কান্না জুড়ে দেয় ছাত্রীটি। প্রেমিকের সঙ্গে থাকার আর্জি জানান কান্নাভেজা গলায়। বিয়ের শর্ত মেনে নিলে অবশেষে বাড়ি ফিরে যেতে সম্মতি জানান তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না থানার চাঁদিবেনিয়া গ্রামের ওই যুবক ফুলের কাজ করেন। মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন। যদিও মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে। তিন দিন আগে মেয়েটি ময়নার চাঁদিবেনিয়ায় চলে এসেছিলেন। মেয়ের বাড়ির লোকজন খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর খণ্ডঘোষ থানার পুলিস ময়না থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে।