শোনা যায় বাবা পঞ্চাননের এই পুজো আগে উত্তর বেলগ্রামে হত না। এমনকি তখন বাবা পঞ্চানন রূপী মহাদেবকে মাটির ঘোড়াও দেওয়া হত না। পাশের গ্রাম খুদরুনের দিঘির পাড়ে বহু যুগ আগে বাবা পঞ্চাননের পুজো হত। আর সেই পুজো করতেন উত্তর বেলগ্রামের এক ভক্ত। তার জন্য প্রতিদিন বেশ কিছুটা পথ উজিয়ে পাশের গ্রাম খুদরুনে যেতে হত তাঁকে। লোকশ্রুতি আছে একদিন রাতে ঘুমের সময় মহাদেব তথা বাবা পঞ্চানন ওই পূজারীকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, তিনি চান নিজের গ্রাম উত্তর বেলগ্রামেই তাঁর পুজো করুক ওই পূজারী। পাশাপাশি জানান, ঘোড়ায় চড়ে আসতে চান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় দল ফিরে যেতেই পড়ুয়াদের পাতে মাংস-ফল
মনে করা হয় বাবা পঞ্চাননের সেই স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরই উত্তর বেলগ্রামে একটি মাটির ঘোড়া এনে আরাধনা শুরু করেন ওই পূজারী। কারণ ভগবান যে বলেছিলেন তিনি ঘোড়ায় চড়ে আসবেন! আর সেই থেকেই উত্তর বেলগ্রামে শুরু হয় বাবা পঞ্চাননের পুজোপাঠ, হোম-যজ্ঞ সহ আরাধনা। সেই থেকে প্রতিবছর মাঘী পূর্ণিমায় বাবা পঞ্চানন তথা গ্রাম্য দেবতার আরাধনায় মেতে ওঠেন এখানকার মানুষ তাঁর পুজো উপলক্ষে গ্রামের মানুষ একটি করে মাটির ঘোড়া উৎসর্গ করে। গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করেন তাঁদের দেওয়া ওই ঘোড়ায় চড়েই সারা গ্রাম প্রদক্ষিণ করেন বাবা পঞ্চানন। এই পুজো ঘিরে গ্রামে চার দিনব্যাপী এক বিরাট মেলা বসে। সেখানে যাত্রা, বাউল, লোকগানের আসর বসে। কেবল উত্তর বেলগ্রাম নয়, বাবা পঞ্চানন তথা মহাদেবের এই মেলায় যোগ দিতে দূর দূরান্ত থেকেও বহু মানুষ আসেন।