আরও পড়ুন-৩০ হাজার টাকা দামের শাড়ি মিলছে মাত্র ৩০ টাকায়! কোথা থেকে কিনবেন এই ভরা বিয়ের বাজারে?
খাসি উপজাতিতে পুত্রদের বিদেশি সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অন্য দিকে, কন্যাসন্তান ও তার মাকে ঈশ্বরের সমকক্ষ বিবেচনা করে পরিবারে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়। এই উপজাতির দেব-দেবতা সম্পূর্ণরূপে কন্যাসন্তানের জন্য নিবেদিত। এই ধরনের উপজাতি সেই সমস্ত সম্প্রদায় ও অঞ্চলের জন্য আদর্শ উদাহারণ যাঁরা কন্যাসন্তানের জন্মে শোকাহত হন। আজও আমাদের দেশের এক বড় অংশের মানুষ কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করেন।
advertisement
তবে প্রযুক্তির অগ্রগতি ও সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই ধারণা পাল্টে যেতে শুরু করলেও তার গতি অত্যন্ত ধীর। খাসি উপজাতিতে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন অনেক ঐতিহ্য ও প্রথা রয়েছে, যা ভারতের বাকি অংশের তুলনায় একেবারেই বিপরীত।
খাসি উপজাতিতে মহিলাদের একাধিক বিবাহ করার অনুমতি রয়েছে। তবে পুরুষরা বহুবার এই প্রথা বদলানোর দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, তাঁরা নারীদের হেয় করতে চান না বা তাঁদের অধিকার কমাতে চান না, বরং তাঁরা নিজেদের জন্য সমান অধিকার চান। খাসি উপজাতিতে পরিবারের ছোট-বড় সব সিদ্ধান্তই নারীদের মত অনুযায়ী চলে। এখানে শুধুমাত্র মহিলারাই সংসারের জন্য রোজগার করেন, বাজার ও দোকান সামলান, সন্তানদের দেখভাল করেন। উপাধি ধারণের ক্ষেত্রেই সন্তানরা মায়েদেরই গুরুত্ব দেন। মেঘালয়ের গারো, খাসি, জয়ন্তিয়া উপজাতিদের মধ্যে এই নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। এঁরা মূলত মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার প্রতিভূ।