স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে, আনুমানিক ২টো নাগাদ সাপে কাটে পল্লবীকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গৃহবধূর পরিবার তাঁকে নিয়ে যান বাপেরবাড়ি এলাকায় থাকা এক স্থানীয় ওঝা—উত্তরা মইশালের কাছে। সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা চলে ‘তন্ত্র চিকিৎসা’, মন্ত্রপাঠ, আর খৈয়ের ধোঁয়া।
মাছ তো নয়, ‘মহৌষধ’! ভিটামিন D ভরপুর… খেলেই গলবে মেদ! সুগার, প্রেশার, অবসাদ নিমেষে উধাও!
advertisement
ফ্লাইটে একেবারেই নিষিদ্ধ! পাইলট ও এয়ারহোস্টেসরা করতে পারেন না কোনও দিন! কারণ জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
তবে অবস্থার আরও অবনতি হলে ওঝা নিজেই ‘হাত তুলে’ দেন। জানান, তাঁর দ্বারা আর চিকিৎসা সম্ভব নয়। এর পরেই মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ পরিবারের লোকজন পল্লবীকে কুলতলী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পল্লবীর শরীরে ততক্ষণে বিষ ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে ১০টি অ্যান্টিভেনাম ইনজেকশন দেন এবং পরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ডাক্তারদের কণ্ঠে ক্ষোভ:
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাপে কামড়ানোর পর প্রাথমিক ঘণ্টাগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো অ্যান্টিভেনাম দেওয়া হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীকে বাঁচানো যায়। কিন্তু এখনও বহু মানুষ কুসংস্কার, ভয় বা অশিক্ষার কারণে প্রথমে ওঝার শরণাপন্ন হন, যার জেরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।
প্রশাসনের চেষ্টা সত্ত্বেও ব্যর্থতা:
বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব গ্রামের ঘরে, মাঠে ও জলের আশেপাশে বেশি দেখা যায়। প্রশাসনের তরফে সচেতনতা শিবির করা হলেও বাস্তবে যে তার প্রভাব যথেষ্ট নয়, তা ফের প্রমাণিত হল এই ঘটনার মাধ্যমে।