পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের পালিশগ্রাম উত্তরপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছেন পাঁচজন শিক্ষক। আর এই পাঁচজন শিক্ষককেই দেওয়া হয়েছে বিএলও এর দায়িত্ব। এই অবস্থায় কীভাবে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন চলবে সেই নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবক সকলেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ জহিরউদ্দিন বলেন, “বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক আছেন। পঠনপাঠন চালাতে হিমশিম খেতে হয়। পাঁচজনকেই বিএলও ডিউটি দেওয়া হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের বলেছে ডিউটি করতেই হবে। বাচ্চাদের পড়াশোনার অসুবিধা হচ্ছে, আমরাও ডিউটি করে যাচ্ছি এখনও পর্যন্ত।”
advertisement
আরও পড়ুন: বীরভূমে চাকরির বৃষ্টি! কপাল খুলল ৪৭ চাকরিপ্রার্থীর, ফের হবে নিয়োগ, অঢেল শূন্যপদের ঘোষণা প্রশাসনের
প্রধান শিক্ষক-সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের দাবি, পাঁচজনকেই যদি একসঙ্গে ট্রেনিংয়ে যেতে হয় বা বিএলও এর দ্বায়িত্ব পালন করতে হয়, তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে স্কুল! বন্ধ থাকবে পঠনপাঠন! এছাড়াও বিদ্যালয়ে সামনেই রয়েছে পরীক্ষা, পড়ুয়াদের পড়ানো থেকে শুরু করে খাতা দেখা সবই তাদের করতে হয়। প্রধান শিক্ষককে দেখতে হয় মিড ডে মিল। এছাড়াও পরিক্ষার আগে কীভাবে সিলেবাস সম্পূর্ণ হবে সেই নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কীভাবে শিক্ষকরা স্কুল সামলাবেন সেটাই ভেবে উঠতে পারছেন না!
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক পিন্টু ঘোষ বলেন, “শুনছি এক একটা বাড়িতে তিনবার করে যেতে হবে। এবার আমি সকালে বেরিয়ে স্কুলে এসে বিকেলে বাড়ি ফিরি। তাহলে আমি এসআইআর এর কাজটা করব কখন এটা আমি চিন্তায় আছি। আমি যে এলাকায় বাস করি বা যে বুথে বাস করি সেই এলাকায় আরও অন্যান্য শিক্ষকরা আছেন, বিবেচনা করে তাঁদের মধ্যেও দায়িত্ত্ব ভাগ করে দেওয়া যেতে পারত। কিন্তু এভাবে স্কুল চালাতে সমস্যা হবে।” অভিভাবকদের প্রশ্ন সব শিক্ষককে যদি এসআইআর এর কাজের জন্য তুলে নেওয়া হয় তাহলে বাচ্চাদের পড়াবেন কারা? বিদ্যালয়ের তরফে এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও, এখনও মেলেনি কোনও প্রতিক্রিয়া।






