ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শপথ গ্রহণের সময় যে শাড়িটি পরেছিলেন সেটিকে সাঁওতালি শাড়ি বলা হয়। এদিন তিনি যে শাড়িটি পরেছিলেন তা ছিল সবুজ-লাল পাড়ের সাদা রঙের একটি শাড়ি যা দেখতে নেহাতই সাদামাটা। একে সাঁওতালি শাড়ি বলে। কিন্তু কী এই শাড়ির বৈশিষ্ট্য? কেনই বা এই শাড়িই এই বিশেষ দিনের জন্য বাছলেন দ্রৌপদী মুর্মু? নেপথ্যে রয়েছে বড় কারণ (What's Special About Draupadi Murmu's Saree)।
advertisement
এই সাঁওতালি শাড়িটি তাঁতে বোনা হয় অর্থাৎ এটি মেশিন দ্বারা তৈরি করা হয় না। তাঁতিরা রঙিন সুতো দিয়ে এই ধরণের শাড়ি তৈরি করেন। এই পোশাকটি কেবল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে তাঁর ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত করে না, বর্তমানে এটি একটি আধুনিক ফ্যাশনের প্রতীক হিসাবেও উঠে এসেছে ভারতীয় বাজারে। এই ধরণের শাড়িগুলির দামও বেশি নয়। মাত্র হাজার টাকা থেকেই শুরু এর রেঞ্জ। যদিও সাঁওতালি আদিবাসী সমাজে বিয়েতে এই শাড়ির বদলে হলুদ ও লাল শাড়িও পরা হয় (What's Special About Draupadi Murmu's Saree)।
এখন সাঁওতালি শাড়িতে ঐতিহ্যগত ও আধুনিক ফ্যাশনের সংমিশ্রণ চোখে পরে। আগে যখন সাঁওতালি শাড়ি তৈরি হত, সে সময় এসব শাড়ির ওপর থ্রি-বো ডিজাইন করা হত। এই প্রতীকের অর্থ ছিল নারীদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা। তবে নতুন যুগে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সাঁওতালি শাড়িতেও ময়ূর, ফুল ও হাঁসের নকশা করা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী এই শাড়ির চেহারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন পাল্টে যাচ্ছে। ঐতিহ্যগত ও আধুনিক ফ্যাশনের সংমিশ্রণ এখন এই সাঁওতালি শাড়িতে দৃশ্যমান। বর্তমানে বাজারে এসব শাড়ির চাহিদা বাড়ছে। আগে এই শাড়িটি ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনা এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এখন এটি অন্যান্য রাজ্যেও খুবই জনপ্রিয় হয়েছে।
জেনে নিন কেমন হয় সাঁওতালি শাড়ি:
এই শাড়ি পূর্ব ভারতের সুকরি টুডু সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত। এই সাঁওতালি শাড়ির এক প্রান্তে কিছু ডোরাকাটা কাজ থাকে এবং কিছু বিশেষ অনুষ্ঠানে সাঁওতালি মহিলারা পরিধান করেন এই শাড়ি। এই সাঁওতালি শাড়ির বিশেষত্ব হল লম্বা স্ট্রাইপ এবং উভয় প্রান্তে একই নকশা।