আরও পড়ুন– আইপিএলে এক ম্যাচে তিন কীর্তি ! ‘বিরাট’ মাইলফলক ছুঁলেন কোহলি
বিহারে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে মানুষের পাশাপাশি মদ পাচারের কাজে লাগানো হচ্ছে অবলা চারপেয়েদেরও। আপাতত বেতিয়াতে মদ পাচারের অভিযোগে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ঘোড়া দু’টি। দিয়ারা দিয়ে উত্তর প্রদেশ থেকে বিহারে মদ পৌঁছনোর পরেই পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর ঘোড়ার মাধ্যমে উত্তর প্রদেশ থেকে মদ পাচার করার ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে নৌতন থানার পুলিশ। ঘোড়া দু’টির কাছ থেকে বিদেশি মদের চারটি বাক্স উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল প্রায় ৩৪ লিটার মদ। গণ্ডক দিয়ারা দিয়েই ওই মদ বিহারে পৌঁছেছিল।
advertisement
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়া:
সাম্প্রতিক সময়ে মদ পাচারের নতুন নতুন পন্থা আবিষ্কার করছে মদ পাচারকারীরা। তাই প্রথমে সেই কাজের জন্য ঘোড়াগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাদের মদ পাচারের কাজে ছেড়ে দেওয়া হয়। নৌতন এসএইচও রাজেশ কুমারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এই পাচারের ছক বানচাল করে। গত ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখ রাতে নৌতন থানার পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছিল। সেই সময় গণ্ডক নদীর তীর বরাবর কয়েকটি ঘোড়া পুলিশের নজরে আসে।
পিঠের বোঝায় ঝুলছে ওয়াইন:
পুলিশ কাছে গিয়ে দেখে যে, ঘোড়ার পিঠে রয়েছে মদের কার্টন। আর মদের বড় বড় বাক্স ওভাবে দেখে চমকে গিয়েছিল তারা। তাদের পিঠ থেকে বিদেশি মদের চারটি কার্টন উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ঘোড়ায় চাপিয়ে মদের বাক্সগুলি উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহারে আনা হচ্ছিল। যদিও কোনও পাচারকারীকে পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। সন্দেহ করা হচ্ছে যে, বেশ কিছু ঘোড়া ততক্ষণে নদী পার করে ফেলেছিল।
রাতের আঁধারে সীমানা পারাপার:
বিহার সংলগ্ন উত্তর প্রদেশের সীমানা বরাবর অবস্থিত গ্রামে ঘোড়াগুলিকে আনা হয়েছিল। দিনের আলোয় আশপাশে ঘুরত ঘোড়াগুলি। আর রাতের অন্ধকারে তাদের মদ পাচারের জন্য কাজে লাগানো হচ্ছিল। এই ধরনের কাজে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডের বিষয়েও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এসপি ডা. শৌর্য সুমনের মতে, সীমানা এলাকায় পাচারের উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।