এমনই এক ধরনের বিষাক্ত একটি কীট হল হ্যামারহেড ওয়ার্ম (Hammerhead Worm)। এই বিষাক্ত কীটের নাম থেকেই পরিষ্কার যে, এই কীটের মাথার আকৃতি হাতুড়ির মতো হয়। এই বিষাক্ত ধরনের কীট দেখতে বড় না হলেও, এটি খুবই মারাত্মক শ্রেণীর একটি প্রাণী। এই বিষাক্ত কীট নিজের শিকারকে তরলে পরিণত করে দেয়, এর পর সেটাকে পান করে।
advertisement
শিকার করার আজব পদ্ধতি
বিষাক্ত কীট হ্যামারহেড ওয়ার্মের শিকার করার পদ্ধতি বেশ আজব ধরনের। এই বিষাক্ত কীটকে দেখতে অনেকটা স্লাইমের মতো হলেও, এটি খুবই ভয়ানক ধরনের একটি প্রাণী। এই বিষাক্ত কীট আজব পদ্ধতিতে নিজের শিকারকে হত্যা করে। সাধারণত এই ধরনের বিষাক্ত কীট তার শিকার আর্থওয়ার্মকে দেখেই তার চারপাশে এক ধরনের তরল পদার্থ ফেলতে থাকে। এটি এক ধরনের চটচটে তরল পদার্থ। এই ধরনের তরল পদার্থে আর্থওয়ার্ম আটকে যায় এবং হ্যামারহেড ওয়ার্ম তাকে নিজের শিকার বানায়। হ্যামারহেড ওয়ার্ম টেট্রোডোটক্সিন (Tetrodotoxin) নামের একটি কেমিক্যাল বের করে নিজের শরীর থেকে, যা তার শিকারের দেহকে তরলে পরিণত করে দেয়। শিকারের দেহ তরলে পরিণত হওয়ার পর হ্যামারহেড ওয়ার্ম ধীরে ধীরে সেটি পান করে ফেলে।
আরও পড়ুন-বাড়িতে চুরি করতে এসে খিচুড়ি রান্না করে খাচ্ছিল চোর ! গ্রেফতার সহজেই
বিষাক্ত এই কীটকে মেরে ফেলে কতটা জরুরি
আর্থওয়ার্ম অর্থাৎ কেঁচোকে পরিবেশের জন্য বিশেষ করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এর ফলে এই ধরনের কীটকে হত্যা করে ফেললে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং যার প্রভাব পড়তে পারে প্রকৃতির ওপরে। হ্যামারহেড ওয়ার্ম সাধারণত দেখা যায় ইউরোপ ও আমেরিকায়। এই ধরনের বিষাক্ত প্রাণী মানুষ এবং পশুর জন্য ক্ষতিকারক নয়, কিন্তু গাছের জন্য এটি ক্ষতিকারক। কারণ গাছের গ্রোথের সহায়ক কেঁচোকে এরা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। এর ফলে কেঁচোর শত্রু হ্যামারহেড ওয়ার্ম এমনিতেই প্রকৃতির শত্রু হিসাবে পরিচিত। এই কারনেই বিজ্ঞানীরা আবেদন করেছেন যে হ্যামারহেড ওয়ার্ম দেখতে পেলেই তাকে মেরে ফেলা দরকার!