আরও পড়ুন– নলকূপ খুলতেই এ কী কাণ্ড! চক্ষু চড়কগাছ এলাকাবাসীর; হতবাক পুলিশ অফিসাররাও
অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করে না। অথচ তারাও জানে যে, বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল কতটা গুরুত্বপূর্ণ! সেই কারণে পরীক্ষায় পাশ করার জন্য যে কোনও কিছু করতে রাজি থাকে তারা। এমনকী, বহু সময় এমনটাও দেখা গিয়েছে যে, কিছু পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রের ভিতরে টাকা রেখে দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে পাশ করিয়ে দেওয়ার আবেদন করছে। আর এসব দেখে স্বাভাবিক ভাবে শিক্ষকরাও হতবাক হয়ে যান। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের এক মহিলা শিক্ষিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি খাতার ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের উত্তর লেখেনি। বরং আবেগপ্রবণ হয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
advertisement
ইংরেজি পরীক্ষা দিতে গিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়ার মনে হয়েছিল যে, পরীক্ষা ভাল হবে না। সেই কারণে উত্তরের পরিবর্তে সে শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে পাশ করিয়ে দেওয়ার আর্জি জানায়। ওই পড়ুয়া লিখেছে যে, সে যদি পরীক্ষায় ফেল করে, তাহলে তাকে আর পড়াবেন না মা-বাবা। এমনকী তাকে বিয়েও দিয়ে দেওয়া হবে। সেই কারণে দয়া করে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য আকুতি-মিনতি করেছে সে।
আসলে খাতায় এমন আবেগঘন কথা লেখা এখন যেন সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। গত কয়েক বছরে বহু শিক্ষার্থীই এহেন কাজ শুরু করেছে। এখানেই শেষ নয়, শিক্ষার্থীরা নিজেদের উত্তরপত্রে ঈশ্বরের নাম লিখেও উত্তর দিতে শুরু করেছে। যেমন- এক ছাত্রকে পরীক্ষার খাতার প্রথম পাতায় দেবী সরস্বতীর আরাধনা করতে দেখা গিয়েছে। আবার আর এক ছাত্র পরীক্ষার খাতায় লিখেছেন ভগবান শিবের নাম। যদিও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য, এই সমস্ত কৌশল তাঁদের উপর একেবারেই খাটে না। তাঁরা শুধুমাত্র সঠিক উত্তরের ভিত্তিতেই নম্বর দিয়ে থাকেন।
