দুবরাজপুর ব্লকের কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভুবন বাবু এখনো সেই বাইকেই চড়ে বেরোন। নতুন বাইকের কথা উঠতেই তাঁর সোজাসাপটা উত্তর, “নতুন বাইক কেনার টাকা নেই। ভাইরাল হয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু তার থেকে কিছু পাইনি। টাকা যদি না পাই, বাইকই বা কিনব কীভাবে?” তিনি বলেন, “এই গাড়িটা আমার লাকি। এই বাইকে চড়েই বাদাম বিক্রি করতাম। গান তৈরি, ভাইরাল হওয়া, সব কিছু এই বাইকের সঙ্গেই জড়িয়ে। এটা আমার জীবনের অংশ। ভেঙে গেলেও বিক্রি করব না।”
advertisement
পথচলতি মানুষের চোখেও এখন বাইকটা এক আইকনিক বস্তু। বহুজন এখনও অবাক হয়ে বলে ওঠেন, “ওই যে ভুবন কাকুর বাইক! এখনও রেখেছেন?” উত্তরে ভুবন বাবু বলেন, “এই বাইক ছাড়ব কেন? ভাগ্যবদলের সঙ্গী তো ও-ই!” ভাইরাল হওয়ার পরে একাধিক রিয়েলিটি শো, স্টুডিও অ্যালবাম এবং যাত্রায় অভিনয়, সব মিলিয়ে চমক থাকলেও স্থায়ী সাফল্য বা আর্থিক স্বস্তি মেলেনি। তবু তিনি আশাবাদী। ভগবানের দিকেই তাকিয়ে বলেন, “আমি তো কিছু চাই না। ভগবান যখন সময় মনে করবেন, তখনই দেবেন। এখন এই বাইকটাই আমার ভরসা।”
সুদীপ্ত গড়াই