প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আগে পিছু না ভেবে ওই মহিলা এরপর কুমিরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। মায়া ও কুমিরের মধ্যে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে এক উত্তেজনাপূর্ণ সংঘর্ষ চলে। প্রথমে মায়া খালি হাতে কুমিরকে ঠেকানোর চেষ্টা করেন এবং পরে একটি লোহার রড দিয়ে আঘাত করতে থাকেন।
advertisement
মায়া জানান, “আমি কিছু না ভেবে চিৎকার করে ঝাঁপ দিই। কুমির ওকে নিচের দিকে টানছিল, কিন্তু আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে ধরে রাখি। আমি ওকে ঘুষি মারি, আঁচড়াই, কিছুতেই ছাড়িনি। কয়েক মিনিট যেন কয়েক ঘণ্টার মতো লাগছিল। এরপর লোহার রড দিয়ে জোরে একবার আঘাত করার পর কুমির ওকে ছেড়ে দেয়। আমার ছেলে বেঁচে গেছে, সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়।”
এই সাহসিকতার সময় মায়া ও বীরু উভয়েই আঘাত পান। মায়া হালকা জখম হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বীরু গুরুতর আহত হওয়ায় এখনও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান রেলের এক ভুলেই এই কৃষক হয়েছিলেন গোটা ট্রেনের মালিক! পুরো ঘটনা জানলে অবাক হবেন আপনিও…
ঘটনার খবর জানার পর ঢাকিয়া গ্রামের প্রাক্তন প্রধান রাজকুমার সিং স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। এরপর বন বিভাগের বিভাগীয় ফরেস্ট অফিসার রাম সিং যাদব ও এসডিও রাশিদ জামিল ঘটনাস্থলে যান এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। বিভাগীয় ফরেস্ট অফিসার আশ্বস্ত করেছেন যে কুমিরটিকে খুঁজে বের করে ধরার জন্য একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
এই ঘটনা আবার প্রমাণ করে, একজন মা তার সন্তানের জন্য জীবনের চরম ঝুঁকি নিতেও দ্বিধা করেন না। মায়ার সাহস ও দৃঢ়তা গোটা গ্রামে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।