উজ্জয়িনী: গাড়ির মালিকদের প্রতারণার জালে পেঁচিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। অভিযোগ, সরকারি দফতরের সঙ্গে নিজেদের গাড়ি যুক্ত করানোর প্রলোভন দেখানো হত গাড়ির মালিকদের। এরপর প্রায় ৪০টিরও বেশি গাড়ি অত্যন্ত সস্তা দামে বিক্রি করেছে ওই অভিযুক্ত। এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ২১টি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, নানাখেড়া থানা এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্তের নাম জগদীশ পারমার। সে একটি কোম্পানি তৈরি করেছিল। আর সেই কোম্পানির মাধ্যমেই প্রতারণার জাল বিছাত সে। নিজেকে ওই সংস্থার মালিক বলে পরিচয় দিত। আসলে সরকারি দফতরের সঙ্গে গাড়িকে সংযুক্ত করার প্রলোভন দেখানো হত গাড়ির মালিকদের। এভাবে প্রায় ৪০টিরও বেশি গাড়ির মালিককে রাজি করিয়েছিল ওই ভুয়ো কোম্পানি।
গাড়ির মালিকদের দাবি, অভিযুক্ত প্রথম কয়েক মাস পর্যন্ত মাসিক ২৫-৩০ হাজার টাকা করে ভাড়াও দিয়েছিল। কিন্তু পরে আর তা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর গাড়ির মালিকদের সন্দেহ হয়। ফলে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে উজ্জয়িনী পুলিশ। তদন্তে নামে তারা। সেখান থেকেই যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে! আর এই প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় হইচই। পুলিশ বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত জগদীশ পারমারকে।
উজ্জয়িনীর এসপি প্রদীপ শর্মা বলেন যে, অভিযুক্তের নাম জগদীশ পারমার। কিছু গাড়ির মালিককে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে জানিয়েছিল যে, সরকারি দফতরে তাঁদের গাড়ি ব্যবহার করা হবে। অভিযুক্তের কথায় বিশ্বাসও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন যে, প্রতারণা করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে। আসলে ভুয়ো নথির সাহায্যে দেওয়াস, শাজাপুর, আগর এবং অন্যান্য শহরে একাধিক গাড়ি বন্ধক দিচ্ছিল জগদীশ। এর মধ্যে কিছু কিছু গাড়ি বিক্রি পর্যন্ত করে দিয়েছিল সে।
এসপি-র বক্তব্য, অভিযুক্ত গাড়ি বন্ধক দিয়ে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা তুলেছিল। আমরা ইতিমধ্যেই ২১টি গাড়ি উদ্ধার করেছি। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি যাঁরা অভিযুক্তের কাছ থেকে গাড়ি কিনেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হবে। অভিযুক্ত জগদীশ পারমারের বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। আপাতত অভিযুক্তের অন্যান্য সহযোগীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।