টাইম ট্রাভেল নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে বিস্তর। অনেকেই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখেননি কেউইই। অনেকে আবার বলেন, এসব গাঁজাখুরি। বাস্তবে টাইম ট্রাভেল সম্ভব নয়। কিন্তু মাঝে মধ্যে এমন কিছু ঘটনা সামনে আসে চমকে যেতে হয়। মনে হয়, টাইম ট্রাভেল বোধহয় সত্যিই সম্ভব। শুধু মানুষ এখনও সেই রহস্যের তল পায়নি।
advertisement
এটা ২০০৬ সালের ঘটনা। মিরর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই যুবকের নাম সের্গেই পোনোমারেঙ্কো। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হঠাতই আবির্ভূত হন ওই ব্যক্তি। স্থানীয় পুলিশকে জানান, তিনি ১৯৩২ সালে ছিলেন। ২০০৬ সালে চলে এসেছিলেন। তাঁর পোশাকআশাকও সেই সময়কার। আদ্যিকালের একটা ক্যামেরাও ছিল।
সের্গেইয়ের কাছ থেকে যে সব নথিপত্র উদ্ধার হয়, তা ছিল ১৯৫০ সালের। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২৫ বছর। শুধু তাই নয়, ছবির এক্ মহিলাকে নিজের বান্ধবী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সের্গেই। পুলিশ সেই মহিলাকে খুঁজেও বের করে। তখন মহিলার বয়স ৭০ বছর। তাজ্জব হয়ে যায় পুলিশ।
একটা ইউএফও-এর ছবিও দেখিয়েছিলেন সের্গেই। দাবি করেছিলেন, ওই ছবিটি তোলার পরই তিনি ভবিষ্যতে চলে আসেন। পুলিশ তাঁর কথায় বিশ্বাস করেনি। কিন্তু সের্গেইয়ের বান্ধবী জানান, ওই যুবক সত্যি কথাই বলছে। ওই ব্যক্তি তাঁর প্রেমিক ছিলেন। একদিন হঠাত করেই উধাও হয়ে যান।
পুলিশের তখন দিশাহারা অবস্থা। ওই যুবককে নিয়ে কী করা উচিত, বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। ততক্ষণে সের্গেই ঝুলি থেকে আরও একটা ছবি বের করে। দাবি করে, এটা ২০৫০ সালের অর্থাৎ ২০০ বছর পরের ছবি। ছবিতে বৃদ্ধ সের্গেই বসে রয়েছেন। এসব দেখে পুলিশ অফিসাররা ঠিক করেন, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হোক, তারপর পরের কথা ভাবা যাবে।
এরপর যুবককে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে উদ্যত হয় পুলিশ অফিসাররা। কিন্তু এরপরই ঘটে বড় অঘটন। আচমকাই উধাও হয়ে যান যুবক। যেন ম্যাজিক। আর তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। এই রহস্যেরও কিনারা হয়নি আজও।
পরে এক ইউটিউবার এই পুরো ঘটনার বিশ্লেষণ করেন। তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, সের্গেই ইউএফও-র যে ছবি হাজির করেছিল তা ইউক্রেনীয় টিভি শো ‘এলিয়েনস’ থেকে নিয়ে ফটোশপ করা। কিন্তু সেই ব্যক্তির বান্ধবী যে কথাগুলো বলেছিলেন তার কী ব্যখ্যা আছে? না, ইউটিউবার তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।