World's Richest Beggar: বিশ্বের ধনীতম ভিক্ষুক কে জানেন? ভিক্ষাবৃত্তি করে তৈরি করা তাঁর বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ জানলে চমকে যাবেন
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
World's Richest Beggar: বাণিজ্যনগরীর চোখে যেন ঘুম নেই। আর ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এবং আজাদ ময়দানের মাঝে কোলাহল আর ব্যস্ততা মেখে দাঁড়িয়ে থাকেন এক ব্যক্তি। তবে টাকা ভিক্ষা করার জন্য নয়, বরং কীভাবে ভাগ্য তাঁর সহায় হয়েছে, সেটা জানানোর জন্যই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। ওই ব্যক্তি আসলে ভরত জৈন।
স্বপ্ননগরী মুম্বই যেন সারাক্ষণ ছুটে চলছে। বাণিজ্যনগরীর চোখে যেন ঘুম নেই। আর ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এবং আজাদ ময়দানের মাঝে কোলাহল আর ব্যস্ততা মেখে দাঁড়িয়ে থাকেন এক ব্যক্তি। তবে টাকা ভিক্ষা করার জন্য নয়, বরং কীভাবে ভাগ্য তাঁর সহায় হয়েছে, সেটা জানানোর জন্যই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। ওই ব্যক্তি আসলে ভরত জৈন। তাঁকে বিশ্বের সবথেকে ধনী ভিক্ষুকের তকমা দেওয়া হয়েছে। দুর্ধর্ষ আর্থিক সাফল্য এবং তাঁর জীবনযাপনই চর্চার বিষয়। প্রচুর টাকা আয় করেছেন এবং সম্পত্তিও করেছেন।
advertisement
তবে মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মাননি ভরত জৈন। অনটন ছিল তাঁর পরিবারের নিত্যসঙ্গী। মাথার ছাদ আর খাবার জোটাতেই হিমশিম খেতে হত তাঁদের। যার জেরে তথাকথিত পড়াশোনাটুকুও করতে পারেননি ভরত। যদিও ভরত নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছেন। আর আজ তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৭.৫ কোটি টাকা। সম্পত্তি আর আয়ের প্রচুর উৎস তাঁর। যা সাধারণ চাকরিজীবীদের থেকে অনেকটাই বেশি।
advertisement
আর চমকপ্রদ বিষয় হল, ভরত জৈনের আয়ের প্রাথমিক উৎস হল ভিক্ষাবৃত্তি। চল্লিশ বছর ধরে এই পেশাতেই রয়েছেন তিনি। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, স্থান এবং মানুষের দয়ার ভিত্তিতে এক দিনে তাঁর গড় আয় ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা। প্রতিদিন কোনও বিরতি না নিয়েই প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করেন ভরত। যার ফলে তাঁর মাসিক আয় হয় ৬০,০০০ টাকা থেকে ৭৫,০০০ টাকা।
advertisement
ভিক্ষাবৃত্তির পাশাপাশি আর্থিক বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তও নিয়েছেন ভরত। মুম্বইয়ে তাঁর ১.৪ কোটি টাকার দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যেখানে স্ত্রী, দুই পুত্র, বাবা এবং ভাইকে নিয়ে থাকেন তিনি। এর পাশাপাশি থানেতে ভরতের রয়েছে দুটি দোকান। প্রতি মাসে সেখান থেকে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া পান তিনি। এই বিনিয়োগগুলির মাধ্যমেই পরিবারের অন্নের স্থায়ী সংস্থান করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে সন্তানদের ভবিষ্যৎও সুনিশ্চিত করেছেন।
advertisement
ভরত জৈনের দুই পুত্র এক খ্যাতনামা কনভেন্ট স্কুলে পড়েছেন। পড়াশোনা সম্পন্ন করে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। জৈন পরিবারের একটি স্টেশনারি স্টোরও রয়েছে। যেখান থেকে হেসেখেলে ভালই আয় হয়। যদিও ভরতকে ভিক্ষা করতে বারণও করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে সে কথায় কর্ণপাত করেন না তিনি। ভরতের বক্তব্য, ভিক্ষা আমি উপভোগ করি। আর আমি তা ছাড়তে চাই না।
advertisement
ইকোনমিক টাইমস-এর এক সাক্ষাৎকারে ভরত বলেছিলেন, “আমি লোভী নই। আমি উদার।” এ-ও জানিয়েছেন যে, মাঝেমধ্যে মন্দিরে গিয়ে তিনি টাকাও অনুদান দিয়ে থাকেন। আসলে ভরতের জীবনের গল্পটা সত্যিই অনন্য! বলাই বাহুল্য যে, ভারতে ভিক্ষার বাজার কিন্তু দুর্দান্ত। এর আনুমানিক মূল্য ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। ধনী ভিক্ষুকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সম্ভাজি কালে (১.৫ কোটি টাকার সম্পত্তি) এবং লক্ষ্মী দাস (১ কোটি টাকার সম্পত্তি)।